August 4, 2025

নতুন সাজে সেজে উঠবে মুম্বাইয়ের দরিদ্রতম মানখুর্দ ওয়ার্ড

 নতুন সাজে সেজে উঠবে মুম্বাইয়ের দরিদ্রতম মানখুর্দ ওয়ার্ড

শহরের দরিদ্রতম এলাকা বলেই পরিচিত মুম্বাই পূর্বের মানখুদ । এবার সেই ওয়ার্ডকেই একেবারে নতুন সাজে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিহানমুম্বাই পুর নিগম। এজন্য ১২ কোটি টাকার একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই কাজ সম্পূর্ণকরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। মুম্বাই পূর্বের এই ওয়ার্ডটি বরাবরই পিছিয়ে পড়া অংশের একটি ওয়ার্ড বলেই পরিচিত। এই ওয়ার্ডের ৭০ শতাংশ এলাকা বস্তি। এছাড়া দেওনার নামের একটি বর্জ্যফেলার এলাকা রয়েছে। ওয়ার্ডের চারপাশেই নোংরা পড়ে থাকত। ফলে এই এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরেই পিছিয়ে পড়া অংশ হিসেবেই পরিচিত থাকলেও এবার সেই এলাকাকে পরিচ্ছন্ন করে একেবারে নতুন করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে পুর নিগম। শহরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে কীভাবে এই ওয়ার্ডটিকে সাজিয়ে তোলা যায় তা ঠিক করতে শহর সৌন্দর্যায়ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাও বলেছেন পুর নিগমের সহকারী পুর কমিশনার মহেন্দ্র উবালে। এ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মহেন্দ্র উবালে বলেন, ‘এই আলোচনার পরে ওয়ার্ডটিকে সাজিয়ে তোলার জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথমত রাজবাড়ি ক্লক টাওয়ারের আদলেই ইন্ডিয়ান অয়েল নগরের ট্রাফিক আইল্যান্ডে একটি ক্লক টাওয়ার বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারপর ট্রম্বের জেটি সাইডে একটি গ্যালারি তৈরির করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য এখানে প্রমোদমূলক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে। অন্য ওয়ার্ডে এই ধরনের খোলা জায়গা এবং সৈকত রয়েছে, কিন্তু এই ওয়ার্ডে তেমন কোনও জায়গা এখনও নেই।’ দ্রুত এই কাজ শেষ করার বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এই ভিউয়িং গ্যালারির বিষয়টি এখনও পরিকল্পনা স্তরেই রয়েছে। এই কাজে খরচ হবে ৫০ কোটি টাকা। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেই এই গ্যালারিটি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। উবালে জানিয়েছেন, কোস্টাল রেগুলেটরি জোনের তরফে ছাড়পত্র দিলেই এই গ্যালারি তৈরির জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ফলে এই কাজটি করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। সহকারী পুর কমিশনার বলেন, ‘এই গ্যালারিটি তৈরি হয়ে গেলে ট্রম্বে জেটি থেকেই নাভা শিবা সেতু এবং মেহুল খাড়ির ফ্লেমিংগো দেখতে পারবেন স্থানীয় মানুষজন। এই সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের মধ্যে ওয়ার্ডে ফুটপাথ তৈরি, সেতু এবং রাস্তার নানা কাজ করবে পুর নিগম। ২৪ টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডের জন্য ওয়ার্ড পিছু ৩০ কোটি টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ২১ টি এলাকার জন্য ১২ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এই কাজের জন্যেও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বরোদা দেবী উদ্যান থেকে জয় সন্তোষী পেপার অ্যান্ড স্টিল মার্ট শপ পর্যন্ত ফুটপাথ তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। থ্রিডি পেন্টিংয়ের সাহায্যে সেন্ট্রাল মেডিয়ান ডিভাইডার, উড়ালপুল এবং ইন্ডিয়ান অয়েল নগরের দেওয়ালকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পুর নিগমের তরফে। এছাড়া এলাকার বর্জ্য পরিষ্কারের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে বস্তি এলাকার বর্জ্য যাতে যেখানে সেখানে পড়ে না থাকে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *