August 2, 2025

ধরা পড়লো মারাত্মক বিষধর সাপ “ব্ল্যাক মাম্বা”!!!

 ধরা পড়লো মারাত্মক বিষধর সাপ “ব্ল্যাক মাম্বা”!!!

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি,খোয়াই।। পৃথিবীর সবচাইতে বিষধর সাপের মধ্যে “ব্ল্যাক মাম্বা ” অন্যতম। এই প্রজাতির সাপ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় আফ্রিকা মহাদেশে। এশিয়া মহাদেশে খুব অল্প সংখ্যক ব্ল্যাক মাম্বা দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন রঙের। এই সাপের বৈশিষ্ট্য হলো, তার মুখগব্বর ও জিব থাকে কালো। মারাত্মক বিষধর এই সাপের গতি খুবই দ্রুত। পাশাপাশি এরা প্রচন্ড চঞ্চল স্বভাবের। এই ব্ল্যাক মাম্বার মারাত্মক বিষ একটি বড় হাতিকেও কয়েক মিনিটের মধ্যে মেরে ফেলতে সক্ষম। তার গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার।এরা সর্বোচ্চ লম্বায় ১৪ ফুট পর্যন্ত হয়।

ওজন সর্বোচ্চ আড়াই কেজি। এই ব্ল্যাক মাম্বা লেজের ওপর ভর করে শরীরের ৯০ শতাংশ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এদের আক্রমণ ক্ষমতাও বেশ তীব্র।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াই হসপিটাল সংলগ্ন একটি পেট্রোল পাম্পের ভেতর হঠাৎ সাত ফুট লম্বা ব্ল্যাক মাম্বা সাপের আগমন ঘটে। এই ভয়ানক সাপকে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পেট্রোলপাম্পে আসা বাইক ও গাড়ি চালকদের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় খোয়াই পশ্চিম গনকী এলাকার বাসিন্দা যোগেশ শাহনিকে। যোগেশ বাবু এই ধরনের বিষধর সাপ ধরার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ।

তিনি এসে প্রায় ৩০ মিনিট সময় ধরে লড়াই করে এই ব্ল্যাক মাম্বাটিকে ধরতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে এই ব্ল্যাক মেম্বাটিকে সংরক্ষণ করে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলে ছাড়ার জন্য। যোগেশ বাবু জানান, তিনি গত ২৫ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে এই ধরনের বিষধর সাপ ধরে ধরে গভীর জঙ্গলে ছাড়ছেন। তিনি জানান, ত্রিপুরার জঙ্গলে তিনি এ ধরনের সাপের সন্ধান পেয়েছেন। এরা খুবই বিষধর। এ ধরনের সাপ পুনরুদ্ধার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও তিনি সাধারণ জনগণের জীবন বাঁচাতে এই কাজগুলো করেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *