August 3, 2025

আড়াইশো বছর ধরে ব্রিটিশ রাজ সৈন্যের পদে মোটা অঙ্কের বেতন পায় ছাগল

 আড়াইশো বছর ধরে ব্রিটিশ রাজ সৈন্যের পদে মোটা অঙ্কের বেতন পায় ছাগল

পকেটে বেতন ঢুকলে চাকরিজীবীদের মন ভালো হয়ে যায় এটাই স্বাভাবিক । এই চাকরিজীবী কারা , প্রশ্ন করলে নির্দ্বিধায় জবাব আসবে মানুষ । তবে যদি বলা হয় ছাগলও চাকরি করে বেতন বাগিয়ে নিচ্ছে , তাহলে চোখ কপালে উঠবেই । গ্রেট ব্রিটেনে এমন ঘটনাই ঘটে চলেছে প্রায় আড়াই শো বছর ধরে । সে দেশে বেতনভুক ছাগলটির নাম চতুর্থ শেনকিন । সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে পুরোনো ও অভিজ্ঞ রেজিমেন্ট হলো রয়্যাল ওয়েলশ । এই রেজিমেন্টের মাসকট একটি ছাগল । এ কারণে ১৭৭৫ সাল থেকে বাহিনীটিতে ছাগলের জন্যও একটি পদ রাখা হয়েছে । রেজিমেন্টের তৃতীয় ব্যাটালিয়নের সেই পদে এখনও রয়েছে ছাগল চতুর্থ শেনকিন ।রেজিমেন্টে ছাগলের জন্য পদ রাখার কারণ পরিষ্কার করেছে রয়্যাল ওয়েলশ মিউজিয়াম । তারা বলছে , আমেরিকার স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংকার হিলের লড়াইয়ের সময় একটি ছাগল দলছুট হয়েছিল । সেই ছাগলটিকে অনুসরণ করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে যায় রয়্যাল ওয়েলশ রেজিমেন্টের একদল সৈন্য । এরপর থেকেই তারা সৌভাগ্যের আশায় নিজেদের কাছে ছাগল রাখে । রেজিমেন্টে শেনকিন যে পদে রয়েছে , সেটির নাম ‘ ফুসিলিয়ার ’ । সাধারণ সৈন্যদের মতোই ছাগলের যেমন পদোন্নতি হতে পারে , তেমনই হতে পারে পদের অবনতিও । যেমনটি হয়েছিল শেনকিনের পূর্বসূরি প্রথম উইলিয়াম ‘ বিলি ’ উইন্ডসরের ক্ষেত্রে । সেটিকে ল্যান্স করপোরাল পদ থেকে ফুসিলিয়ার পদে নামিয়ে আনা হয়েছিল । কারণ কারণ , রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মদিনের উৎসবে কুচকাওয়াজের সময় এক ড্রামবাদককে গুঁতিয়ে দিয়েছিল ছাগলটি । এই ছাগলগুলো যে বেতন পায় , তা সাধারণত তাদের দেখভালেই খরচ করা হয় । বেতন থেকে একটি রেডিও এবং সোফার ব্যবস্থাও করা হয় । এ ছাড়া ছাগলটির জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় এক ব্যক্তিকে । তার কাজ ছাগলটিকে সাজিয়ে – গুছিয়ে রাখা , ব্যায়াম করানো , প্রশিক্ষণ দেওয়া ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত করা । বর্তমানে রয়্যাল ওয়েলশ রেজিমেন্টে থাকা ছাগল শেনকিনকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল প্রয়াত রানি এলিজাবেথের ছেলে তৃতীয় চার্লসকে রাজা ঘোষণার সময় অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে । ১৮৪৪ সালে প্রথম রাজকীয় ছাগল প্রথা চালু হয় রানি ভিক্টোরিয়া ( প্রথম ) -এর শাসনকালে । তবে ধারণা করা হয় , ১৭৭৫ সাল থেকেই গ্রেট ব্রিটেনের সেনা কুচকাওয়াজে প্রাণীদের রাখা হতো ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *