অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো সম্পর্ক বজায় রাখলে দুই দেশের পক্ষেই ভালো। মঙ্গলবার লিচুবাগানের এলবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল পার্কে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু। এদিন সকালে অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়ালে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যপাল। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল ভারত। রাজ্যে মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের নয় মাসের জন্য আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ভারতের সেনাবাহিনীর দিকে কেউ এখন চোখ তুলে তাকাতে পারে না।সেনা বাহিনীকে সবধরনের স্বাধীনতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অপারেশন সিন্দুর প্রসঙ্গ টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে এই অপারেশনে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে দেশের নাগরিকদের উপর আক্রমণ হলে ভারত বসে থাকবে না। ঘরে ঢুকে গিয়ে মারবে।এই ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন তিনি।মঙ্গলবার সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়ালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মণ, রাজ্য পুলিশ মহানির্দেশক অনুরাগ, ভারতীয় সেনার ৭৩ মাউন্টেন ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ধীরাজ সিং,পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার প্রমুখ।
এদিন রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ যা আগে পূর্ব পাকিস্তান ছিল। এই দেশের সাধারণ নাগরিকদের পশ্চিম পাকিস্তানীরা খুব অত্যাচার করেছে।এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে অনেকে রাজ্যে এসেছিলেন সাহায্য চাইতে।দেশের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তখন বাংলাদেশের মুক্তি বাহিনীকে যুদ্ধে সহযোগিতা করা হয়। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানকে যুদ্ধে পরাজিত করে ভারত। ১৬ ডিসেম্বর আজকের দিনেই পাকিস্তানের ৯১ হাজার সৈনিক ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। তখন থেকে এই দিনটি বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। রাজ্যপাল আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতীয় সেনার ৭৩ মাউন্টেন ব্রিগেডের বীর জওয়ান অ্যালবার্ট এক্কা শহিদ হয়েছিলেন। তার স্মৃতিতে লিচুবাগানে অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে, সন্ধ্যায় অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল পার্কে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর শিল্পী এবং সেনা বাহিনীর জওয়ানরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নান্নু, মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ, বিএসএফের আইজি অলক কুমার চক্রবর্তী, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৭৩ মাউন্টেন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ধীরাজ সিং, আসাম রাইফেলসের ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার মনীষ রানা, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬ শিখ ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বিবেক সিং সেনগার প্রমুখ।