জম্পুইয়ে প্রোমা ফেস্ট আয়োজনে মিজোরামের বাধা,পাহাড়ে উত্তেজনা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রোমো ফেস্ট উপলক্ষে জম্পুই বেথেলিয়ানচিপে যাওয়ার রাস্তার জঙ্গল পরিষ্কার করা নিয়ে ফের উত্তপ্ত ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্ত। মিজোরাম আবারও পুরোনো মনোভাব নিয়ে ত্রিপুরার ভূখণ্ডের ভেতরে প্রশাসনিক কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফুলদংসাই এলাকায় চরম উত্তেজনা। জানা গেছে, প্রোমো ফেস্ট সামনে রেখে ত্রিপুরা সরকারের পক্ষে বেথেলিয়ানচিপে পৌঁছনোর পাহাড়ি রাস্তাটির জঙ্গল পরিষ্কার করা হচ্ছিল। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ত দপ্তরের রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত। হঠাৎই মিজোরাম প্রশাসনের তরফে কাজ বন্ধের নির্দেশ আসে এবং কিছু স্থানীয় লোকজন কর্মরত শ্রমিকদের ভয় দেখায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মিজোরামের মুখ্যসচিব ত্রিপুরার মুখ্যসচিবের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়ে দাবি করেন, বেথেলিয়ানচিপ মিজোরামের অংশ। জঙ্গল পরিষ্কার করার ঘটনাকে মিজোরাম উস্কানিমূলক মনে করছে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পর্যটকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রোমো ফেস্ট ঘিরে জম্পুই পাহাড়ে কয়েক হাজার পর্যটক সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে গোটা উৎসবের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ত্রিপুরা পপ্রশাসনের মতে মিজোরাম দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে অযৌক্তিক দাবি করে আসছে ও ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বেথেলিয়ানচিপ, ফুলডুংসাই সীমান্ত পরিবর্তনের কথা বলে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, গত বছর বেথেলিয়ানচিপে নির্মাণাধীন একটি পর্যটক বিশ্রামাগারে গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।ত্রিপুরা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে মিজো যুবকদের একটি দল এই হামলায় যুক্ত ছিল। ত্রিপুরা প্রশাসন ধৈর্য ও সংযমের পথেই এগিয়েছিল। এ বছর আবারও একই আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে মিজোরাম। যা একপ্রকার অবৈধ প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মিজোরামের ধারাবাহিক হানাদারি আসলে কি সীমান্ত জটিলতার আড়ালে রাজনৈতিক প্ররোচনা ও অভ্যন্তরীণ সঙ্কট আড়াল করার কৌশল! সাম্প্রতিককালে মিজোরামের প্রশাসন অভ্যন্তরীণ জন অসন্তোষে জর্জরিত, ফলে প্রতিবেশী রাজ্যকে দোষারোপ করে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। এদিনের ঘটনায় পাহাড়ের হোটেল ও পর্যটক আবাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।