২ মাসে ২০০৩ জনকে নোটিশ, ৭২ গাড়ি বাজেয়াপ্ত,ট্রাফিক জ্যাম দূরীকরণ নয় জরিমানা আদায়ে ব্যস্ত পুলিশ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ট্রাফিক জ্যাম দূর করা নয়। পুলিশ ব্যস্ত জরিমানা আদায়ে। গত অক্টোবর থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগরতলায় ট্রাফিক পুলিশ ইউনিট বেআইনি পার্কিংয়ের জন্য দুই হাজার তিনজনকে নোটিশ দিয়েছে। ক্রেন দিয়ে গাড়ি তুলে নিয়েছে ৭২টি। গত তিনদিন ধরে বিশেষ অভিযানের পর এই তথ্য জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের অফিসাররা। আগরতলা শহরে ব্যস্ততম সময় বেছে ব্যাপকহারে বাইক, গাড়ি, অটো জরিমানা করা হচ্ছে। এভাবেই ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়েছে ট্রাফিক ইউনিট। ট্রাফিক অফিসাররা আশায় আছেন স্মার্ট সিটির কাজ শেষ হলে শহরে ট্রাফিক জ্যাম হবে না। এই আশায় এখন জরিমানা আদায়, চালান কাটতে মন দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশ অফিসাররা। তবে অভিযানগুলিতে দূরবীন দিয়ে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এসপি কান্তা জানগীরকে। তিনি মাসে এক-দুইবার অভিযানে চেহারা দেখাচ্ছেন। এরপর আর কোথাও থাকছেন না। বিশেষ করে সকালে ও সন্ধ্যায় অফিস শুরু এবং ছুটির সময় শহরে ট্রাফিক জ্যামে বন্দি হয়ে পড়ছেন সাধারণ নাগরিকরা। ভিআইপিদের গাড়ি এই সময়ে যাতায়াত করলে আরও বেশি দুঃসহ অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। ট্রাফিক সিগন্যালগুলি শুধুমাত্র সাধারণ যানবাহনের জন্য। অতি ভিআইপিদের গাড়ি ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ায় না। এসব চোখে দেখেন না ট্রাফিক পুলিশের অফিসাররা। গত চার নভেম্বর থেকে আগরতলায় বিশেষ যৌথ অভিযান শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ ইউনিট। অভিযানে আগরতলা পুর নিগম, পূর্ত দপ্তর এবং ট্রাফিক পুলিশ একসঙ্গে শহরের বিভিন্ন বাজার ও রাস্তায় অভিযান করেছে।বৃহস্পতিবার বটতলায় অভিযানের মাধ্যমে তিনদিনের বিশেষ অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযানের পর রাতে ট্রাফিক পুলিশ ইউনিটের ডিএসপি দীপক কুমার সরকার জানান, প্রত্যেক মাসে এখন থেকে এইভাবে বিশেষ অভিযান হবে। অভিযানে পুর নিগম বেআইনি দখলদারদের ফুটপাত, রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করছে। ট্রাফিক পুলিশ বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আগরতলার লেক চৌমুহনী, দুর্গা চৌমুহনী, রাধানগর, শকুন্তলা রোড, বটতলা ছাড়াও বিভিন্ন গলি রাস্তায় অভিযান হয়েছে। তিনদিনের বিশেষ অভিযানে বেআইনি পার্কিংয়ের জন্য ৩০৫ জন যানবাহন চালককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজধানীর ধলেশ্বর এলাকা সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকা আগের মতোই আছে। ধলেশ্বর এলাকার প্রতিটি রাস্তায় রাতে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। এতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।অথচ ট্রাফিক পুলিশের সেই দিকে নজর নেই। এদিন ডিএসপি দীপক কুমার সরকার আরও জানান, গত মাস থেকে এই অভিযানে ভালো সাফল্য এসেছে। এই সময়ে বাইকের নম্বর টেম্পারিংয়ের জন্য ২১ জন চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন গলি থেকে ৭২টি গাড়ি ক্রেন দিয়ে তুলে এডিনগরে পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। শহরে ট্রাফিক জ্যাম দূর করতে এই পদক্ষেপ বলে ডিএসপি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শহরে স্মার্ট সিটির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। কাজের জন্য রাস্তায় জ্যাম বেশি হচ্ছে। কাজ শেষ হয়ে গেলে শহরে ট্রাফিক জ্যাম হবে না। ট্রাফিক পুলিশ ও পুর নিগম অবশ্য বিশেষ অভিযানে পশ্চিম আগরতলা থানার সামনে খাবারের দোকানগুলি রাস্তা দখল করে রাখলেই এই ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়া প্যারাডাইস চৌমুহনীতেও বেআইনি দখলদারদের কোনও বাঁধা দেননি। ট্রাফিক জ্যম দূর করার থেকে নজর বেশি ছিল বেশি সংখ্যায় জরিমানা আদায় ও চালান কাটা। এই ক্ষেত্রে সফল বিশেষ অভিযান। তবে ট্রাফিক জ্যামের সমস্যা থেকে শহরবাসীরা একটুকুও মুক্তি পেলেন না বলে অভিযোগ।এই ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই।