ছ’মাস পর ভারতকে আবার বিরল খনিজ রফতানি শুরু করল চিন, নতুন চুক্তিতে কড়া শর্ত আরোপ বেজিংয়ের!!
আর কে নগরে গড়ে উঠবে সিজা হাসপাতাল : মুখ্যমন্ত্রী!!
 
             
      অনলাইন প্রতিনিধি:-ডিম, দুধ এবং মাংস উৎপাদনে রাজ্য এখন অনেক বেশি এগিয়ে।ইতিমধ্যেই গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ডিমে প্রথম এবং দুধ উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। মাংস উৎপাদনেও এখন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এই রাজ্য। বৃহস্পতিবার আরকে নগরের ত্রিপুরা ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কলেজের ১৭তম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।
আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি যুক্ত রয়েছে প্রাণীসম্পদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাই গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করার জন্য নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করার কাজ করে চলেছেন। এদিন কলেজের একটি পাকা ভবনেরও উদ্বোধন করা হয়।মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা সহ অন্যান্য অতিথিরা এর সূচনা করেন।এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই এলাকায় একটি সিজা হাসপাতাল গড়ে উঠতে চলেছে। খুব সম্ভবত আগামী ৫ তারিখ এই হাসপাতালের ভূমিপূজনও হবে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাণীপালকদের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী গো ধন যোজনা চালু করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে প্রাণী পালক সম্মান নিধি। তাতে বছরে ছয় হাজার টাকা করে প্রাণী পালকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ২০২৩-২০২৪, ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে ৮ হাজার লোক উপকৃত হয়েছে। এছাড়াও পশুদের সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য মোবাইল ভ্যান চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান। আরও বলেন, সবুজ প্রাণীখাদ্য চাষ করা হচ্ছে। এদিক থেকে এখনও পর্যন্ত ২৮৬ হেক্টর জমিতে সবুজ প্রাণী খাদ্য চাষ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৫-২০২৬ অর্থবর্ষে ৫৫টি মোবাইল ভেটেরিনারি ইউনিট চালুর জন্য ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ বা পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আগামী দিনে ভেটেরিনারি কলেজটি আরও সুনাম অর্জন করে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, প্রাণীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দপ্তর নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেখানে পশু হাসপাতাল নেই বা পশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে অসুবিধা হচ্ছে সেই প্রাণী পালক ও প্রাণীদের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে ১৩ টি মোবাইল ভেটেরিনারি ভ্যান চালু করা হয়েছে। যা ১৯৬২ নম্বরে ফোন করলে চিকিৎসক চিকিৎসা কার্য সহ পৌঁছে যাচ্ছে প্রাণী পালকদের বাড়িতে। এছাড়াও ভেটেরিনারি হাসপাতালে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বসানো সহ নান ভাবে উন্নয়নের কাজ চলছে। খুব সহসাই তিনি ভেটেরিনারি কলেজে স্থায়ী ফ্যাকাল্টি নিয়োগ করা হবে বলেও ঘোষণা দেন এদিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিধায়ক রতন চক্রবর্তী এদিন গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতি ও মানুষের জীবনজীবিকার উন্নয়নে এই কলেজ কাজ করে চলছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে ৫৬.১৭ একর জমিকে নিয়ে এই ভেটেরিনারি কলেজ যাত্রা শুরু করেছিলো। বর্তমান সময়ে ১৮১.৩৬ একর বিশাল জায়গা নিয়ে সারা দেশের মাইলফলক হয়েছে এই কলেজ। ২০ জন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া এই কলেজের বর্তমান আসন সংখ্যা ৬৬ টি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শ্যামল দাস, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার, অতিরিক্ত সচিব ড. নীরাজ কুমার চঞ্চল সহ অন্যরা।প্রতিষ্ঠাদিবসকে ঘিরে এদিন এক রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন, করা হয়।এতে মোট ৬০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।
 
								 
								 
						 
         
						