ভোটে লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর! দিলেন স্পষ্ট বার্তা ও ব্যাখ্যা — বললেন, “বিহারে এনডিএ-র দিন ফুরিয়েছে”!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিহারের রাজনীতিতে জল্পনার অবসান ঘটালেন জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। মঙ্গলবার রাতে তাঁর দল প্রথম দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় পিকে-র নাম নেই। বুধবার তিনি নিজেই ঘোষণা করেন — এ বার তিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে প্রশান্ত জানান, জন সুরাজ পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি এই নির্বাচনে লড়বেন না, বরং দলের সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করবেন। তাঁর কথায়, “দল চায় আমি সব কেন্দ্রের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করি, এক জায়গায় সীমাবদ্ধ না থাকি।”
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই শোনা যাচ্ছিল, তিনি হয়তো বৈশালী জেলার রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেন, যেখানে বর্তমানে বিধায়ক আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। বিকল্প হিসাবে কারগাহার কেন্দ্রের কথাও তিনি বলেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার জন সুরাজ পার্টির তালিকায় রাঘোপুরে চঞ্চল সিংহ ও কারগাহারে রীতেশ রঞ্জনের নাম ঘোষণার পরই স্পষ্ট হয়ে যায়, এ বার আর প্রার্থী হচ্ছেন না প্রশান্ত।
তবে ভোট না লড়লেও রাজনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে ভোলেননি পিকে। তাঁর দাবি, এ বার বিহারে এনডিএ-র পরাজয় অনিবার্য। তিনি বলেন, “নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ হয়তো ২৫টি আসনও জিততে পারবে না। এনডিএ-র বিদায় এবার নিশ্চিত।”
কেন এমন মনে করছেন প্রশান্ত? তাঁর ব্যাখ্যা, গত নির্বাচনের আগে চিরাগ পাসোয়ানের বিদ্রোহে জেডিইউ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, ফলে তাদের বিধায়ক সংখ্যা কমে আসে ৪৩-এ। এবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
তবে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র ক্ষেত্রেও আশাবাদী নন পিকে। তাঁর মতে, আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে চলা অন্তর্দ্বন্দ্ব জোটের ক্ষতি করবে। ফলে বিহারের নির্বাচনে কী হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে—
• প্রথম দফার ভোট: ৬ নভেম্বর (১২১ আসনে)
• দ্বিতীয় দফার ভোট: ১১ নভেম্বর (১২২ আসনে)
• ফল ঘোষণা: ১৪ নভেম্বর
এইভাবে স্পষ্ট, প্রাক্তন ভোটকুশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোর এবার নিজের ময়দান ছেড়ে দাঁড়াচ্ছেন দলের পেছনের কৌশলী শক্তি হিসেবে — কিন্তু তাঁর বক্তব্যেই বুঝিয়ে দিলেন, বিহারের রাজনীতিতে লড়াই এখনও শেষ নয়, বরং শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়।