মার্চের মধ্যেই রাজ্যে আরও ৬টি মডেল স্কুল : মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আরও ৬ টি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল (ইএমআরএস) নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার জম্পুইজলার প্রভাপুরে ৪৮০ আসন বিশিষ্ট ১২ তম একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। আনুষ্ঠানিকভাবে এই মডেল স্কুলের সূচনা পূর্বে তিনি এদিন বলেন, আবাসিক বিদ্যালয়গুলির মাধ্যমে খুব
সহজেই জনজাতিদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, ভাষা সংরক্ষণ, এমনকি হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গুণগত শিক্ষার প্রসারে ইএমআরএস (একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল) জনজাতিদের জন্য সহায়ক ভূমিকা নেবে। কেন্দ্রীয় জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রক থেকে ২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা অর্থানুকূল্যে গত ৯ এপ্রিল ২০২২ সালে এর কাজ শুরু হয়। তিনি বলেন, ১৯৯৭-৯৮ সালে এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টি শুরু করা হলেও মাঝপথে থমকে যায়। কিন্তু মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই থমকে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থারই গতি আনা হয়েছে। এরই মধ্যে জম্পুইজলা সহ খুমুলুং, কুমারঘাট, কিল্লা, পদ্মবিল, আমবাসা, ডম্বুরনগর? এবং আরও মোট ১২ টি আবাসিক বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। যেগুলি চালু করা হয়েছে তাতে এখনও পর্যন্ত ২,৪৭৫ জন ছাত্রছাত্রী শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নিচ্ছে। এই আবাসিক বিদ্যালয়গুলি ছাড়াও রাজ্যে আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে আশ্রম স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও প্রায় এক হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ নিচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে অম্পি, হেজামারা, ছামনু, অমরপুর, মান্দাই এবং মনুতে খোলা হবে একলব্য মডেল স্কুল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ত্রিপুরা রাজ্য পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও ফ্রন্ট রানার স্টেট হিসাবেও স্বীকৃতি পায় ত্রিপুরা। তিনি বলেন, একসময় বিদেশ থেকে দেশের মাটিতে শিক্ষা নিতে আসতো অনেকেই। তবে উন্নয়নের সেই ধারা ধীরে ধীরে বিলোপ হতে থাকে। যদিও মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই সংস্কৃতিকেই পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, একলব্য মডেল স্কুল জনজাতিদের শুধুমাত্র গুণগত শিক্ষাই প্রদান করবে এমন নয়। এটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক ভাবেও উন্নয়নের পথ দেখাবে। এক্ষেত্রে যারা এই মডেল স্কুলগুলি থেকে বেরোবে, তাদেরও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, খেলাধুলা এবং দক্ষতা বিকাশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই স্কুলগুলিতে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিধায়ক মানব দেববর্মা, জম্পুইজলা আরডি ব্লকের চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব কে শশীকুমার সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।