October 21, 2025

শূন্যপদ ৫১৭৮৪, নিয়োগ নেই, ক্ষুব্ধ বেকার মহল!!

 শূন্যপদ ৫১৭৮৪, নিয়োগ নেই, ক্ষুব্ধ বেকার মহল!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে শূন্যপদ ৫১ হাজার৭৮৪টি। সে তুলনায় নিয়োগ নেই।২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত শূন্যপদ হলো ৫১৭৮৪টি। গত সাত বছরে সাতটি দপ্তরে ২৭,২২৭ জন (৪০.১২%) কর্মচারী কমে গেছে। ২০১৭ সালে রাজ্যে মোট সরকারী কর্মচারী ছিলেন ১৫২৮৩১ জন। রাজ্যে গত সাত বছরে প্রায় ৫২ হাজার শিক্ষক কর্মচারী কমে গিয়েছে। সরকার চাইলে প্রায় ৬৮ হাজার বেকার যুবক যুবতীদের নিয়মিত পদে সরকারী চাকরি দিতে পারে।
জানা গিয়েছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পূর্ত, আরক্ষা দপ্তরে প্রায় ৩২১৭৮টি শূন্যপদ রয়েছে। রাজ্যে মোট শূন্যপদের ৬২ শতাংশ শূন্যপদ এই চার দপ্তরে। ত্রিপুরা বিধানসভার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে শূন্যপদ ৬৭০৬টি। মাধ্যমিক শিক্ষায় ৪০৩২টি। উচ্চশিক্ষা ১০০৯টি। স্বরাষ্ট্র দপ্তর (পুলিশ) ৭১১৫টি। টিএসআর ২৪০৫টি। ডাক্তার ১৬৮৮টি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ৫৮২০টি। নার্স ৫১১২টি। স্বাস্থ্য কারিগরি কর্মী ১১৯৭টি। পিডব্লিউডি (আরঅ্যান্ডবি) ৩৬০৫টি। কৃষি ২০৭৫টি। প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন ১৫৩৩টি। গ্রামীণ উন্নয়ন ১১৪১টি। রাজস্ব ১১৩৪টি। ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক ৭৬২টি। ফায়ার সার্ভিস ৭৩৪টি। বন ৬২৬টি। পিডব্লিউডি (ডব্লিউআর) ৫১৪টি। তপশিলি জাতি, তপশিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাৎপসরণকারী প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে ৪৫৩টি। মৎস্য ৪৪৪টি।
একইভাবে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরে শূন্যপদ ৪০৮টি। তথ্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক দপ্তরে ৩৭৪টি। আনোয়ারি সাহায্যকারী ও কর্মী ৩৩৬টি। তাঁত, হস্তশিল্প ও রেশম চাষ ২৬৪টি। সমাজকল্যাণ ও শিক্ষা ২৪৫টি। সমাজকল্যাণ ও শিক্ষা ২৪৫টি। অর্থ ২৪০টি।খাদ্য, বেসামরিক সরবরাহ ২২৮টি।পিডব্লিউডি (ডিডব্লিউএস) ২০৯টি।সাধারণ প্রশাসন (মুদ্রণ) ১৮৯টি।কর্পোরেশন ১৫৬টি। বিদ্যুৎ ১৫৫টি।পরিকল্পনা ও সমন্বয় ৮৩টি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৭১টি।পর্যটন ৫১টি। তথ্য প্রযুক্তি ৪০টি।কর্ম বিনিয়োগ ৩৩টি। সংখ্যালঘু দপ্তর ২৩টি। নগর উন্নয়ন ১৮টি। আইন দপ্তর ১৬টি। পরিবহণ ১০টি। ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরে ৯টি শূন্যপদ সহ রাজ্য সরকারের ৪২টি দপ্তরে শূন্যপদ প্রায় ৫১৭৮৪টি।
অভিযোগ উল্টো সরকারের ব্যর্থতায় একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া ৫ বছরে শেষ হচ্ছে না। ফলে বয়স উত্তীর্ণ হচ্ছে রাজ্যের বেকার। একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৭ বছর।রাজ্যে যুবক যুবতীরা চাকরির সম্পূর্ণ বেনিফিট এবং অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবে। একাংশ পদে চাকরি হলেও আদালতের নির্দেশে তা বাতিল হচ্ছে। এমনকী গত তিন বছরে রাজ্যের এডিসিতেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ।
যদিও ২০১৮ সালে বিজেপির ভিশন ডকুমেন্টে প্রতিশ্রুতি ছিলো বছরে ৫০ হাজার সরকারী চা করি প্রদান করা হবে। বিজেপির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৭ বছরে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার রাজ্যের বেকারের সরকারী চাকরি হবার কথা। এর ধারেকাছেও চাকরি হয়নি। উল্টো প্রতিশ্রুতি বর্তমানে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। ২০১৭> সালে প্রচার ছিলো রাজ্যে বেকারদের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার। জানা গিয়েছে গত সাত বছরে রাজ্যে নিয়মিত পদে চাকরি হলো মাত্র ১৬ হাজার বেকারের। এতেই সহজেই অনুমেয় রাজ্যে বেকার সমস্যা সমাধান অধরা।
অভিযোগ, সরকারের ব্যর্থতার জন্য সাত বছরে প্রায় ২৮ হাজার শূন্যপদ অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে আরও হাজারো শূন্যপদ অবলুপ্ত হবে। গত সাত বছরে সাতটি দপ্তরে ২৭,২২৭ জন (৪০.১২%) কর্মচারী কমে গিয়েছে। সাত বছরে শিক্ষা, পিডব্লিউডি (আর অ্যান্ড বি), পশু সম্পদ, খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ সহ মোট সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে মোট ২৭,২২৭ জন নিয়মিত, ক্যাজুয়াল, চুক্তিভিত্তিক ও আউটসোর্সিং কর্মচারী কমেছে। এটাই বাস্তব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *