September 27, 2025

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনীয়ারিং ব্রাঞ্চে ২০ লক্ষের ঘোটালা!!

 বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনীয়ারিং ব্রাঞ্চে ২০ লক্ষের ঘোটালা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি রুখতে সরাসরি পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। শিক্ষা মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের পরই কুড়ি লক্ষ টাকা লোপাটে ব্যস্ত ইঞ্জিনীয়ারিং ব্রাঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসল শিক্ষা মন্ত্রক। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রায় তিন বছর আগে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসবিআই শাখা সংলগ্ন গেট থেকে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তরেব এই ২০০ মিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাত ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। যদিও এই কাজের জন্য দশ লক্ষ টাকাই অনেক বেশি। সে যাই হোক, রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয়। এরপর রাস্তার মেরামত শেষের পর দেখা গিয়েছে কাজের বরাত বৃদ্ধি করে ৩৬ লক্ষ টাকা করা হয়। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কারণ ওই সময় পর্যন্ত বিলটি ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স ব্রাঞ্চে যায়নি। তবে সদ্য প্রাক্তন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যকাল শেষের প্রায় ছয় মাস আগে রাস্তা
সংস্কারের বরাত রাতারাতি বাড়িয়ে ফাইনাল বিলের নামে ৫৬ লক্ষ প্রদানের জন্য ফিনান্স ব্রাঞ্চে বিলটি দাখিল করেছিল ইঞ্জিনীয়ারিং ব্রাঞ্চ। শুধু তাই নয়, অনৈতিকভাবে এই বিলে অনুমোদন প্রদানের জন্য প্রাক্তন উপাচার্যকে ঘেরাও করা হয়। ওই সময়ে রাতারাতি কুড়ি লক্ষ টাকা বাড়িতে বিলে অনুমোদন প্রদানের বিষয়টি রাজ্য ক্রাইম ব্রাঞ্চের নজরে আসে। এমনকী এই দুর্নীতির বিষয়টি কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স শাখার কাছে এবং শিক্ষা মন্ত্রকেও যায়। এরপরই যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে প্রথম ধাপে কুড়ি লক্ষ টাকার আর্থিক দুর্নীতি বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। জানা গিয়েছে এরপর ইঞ্জিনীয়ারিং ব্রাঞ্চের মাধ্যমে যে ৩৬ লক্ষ টাকার বিল দাখিল হয়েছে। এরও তদন্ত করবে ভারত সরকার। শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এতদিন যারা ৫৬ লক্ষ টাকা বিলের জন্য ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একপ্রকার গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন। এমনকী ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স ব্রাঞ্চ থেকে বিল আদায়ের জন্য দিনরাত বৈঠক করেছেন। এখন তারা কেন রাতারাতি ৫৬ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ৩৬ লক্ষ টাকা রাস্তা সংস্কার বাবদ নিতে সম্মতি এবং স্বাক্ষর দিলেন। তবে সহজেই অনুমেয়, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী এই কুড়ি লক্ষ টাকা লুটপাটের জন্য ব্যস্ত ছিলেন।
যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ইঞ্জিনীয়ারিং ব্রাঞ্চের মাধ্যমে রাস্তার সংস্কার বাবদ ৩৬ লক্ষ টাকা প্রদান হলেও এই বিষয়টি তদন্তের জন্যে ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা রাজ্যে আসছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে ইঞ্জিনীয়ারিং ব্রাঞ্চের মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি টাকার কাজেরও তদন্ত হবে।
জানা গিয়েছে এ বিষয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মামলা হচ্ছে ক্রাইম ব্রাঞ্চে। পুলিশ সূত্রে খবর, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনীয়ারিং ব্রাঞ্চ থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি ফাইল গায়েব হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *