নেপালের অশান্তির জেরে মাঝ রাতে হঠাৎ উত্তরকন্যায় হাজির মমতা!!
শিল্পীদের মধ্যে উনিশ-বিশ প্রতিযোগিতা চান মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- আমি পারি না ভেবে বসে থাকলে হবে না। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। এটা না থাকলে কোনো দিনই সম্ভবও হবে না।মঙ্গলবার আত্মবিশ্বাসের সাথে একথা জানিয়ে সরকারী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্র বলেন, শিল্পীদের মধ্যে সুপ্ত বাসনা থাকে। আত্মবিশ্বাসের সাথে এই বাসনাকে প্রস্ফুটিত করতে হবে। অবসাদকে ঠেলে আপনাকে অনেক উঁচুতে তুলে আনতে পারে শিল্পকলা। কাজেই প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবও জাগিয়ে তুলতে হবে এক্ষেত্রে।যেনো প্রতিযোগিতা হয় সেয়ানে সেয়ানে, উনিশ-বিশ।

এ দিন ছিলো লিচুবাগানস্থিত সরকারী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা মহাবিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীদের শৈল্পিক ভাবনার বিভিন্ন নিদর্শন দেখে এ দিন প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাদের। তিনি বলেন, শিক্ষার পরিধি যে বিস্তৃত তা এখানে না এলে হয়তো বোঝাই যেতো না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্ধৃতি টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেবাসের বাইরে গিয়েও এমন অনেকে কিছুই শিল্পকলার মাধ্যমে তুলে ধরতে হয় তাদের। যা বাইরে থেকে অনেকেই জানেন না। এক্ষেত্রে তাদের শৈল্পিক ভাবনার প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের সেখানে আমন্ত্রণ জানানোর পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি মনে করেন, জনপ্রতিনিধিরাই পরবর্তী সময়ে তাদের শিল্পকলার নানা দিকগুলি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে রাজ্যের অভ্যন্তরে সংস্কৃতিমনস্ক এমন শিল্পী থাকা সত্ত্বেও প্রচার-প্রসারের অভাবে ব্যাপ্তি লাভ করতে পারেনি তারা। যে কারণে পশ্চিমবাংলার শিল্পীদের হাতে গড়া পুজো প্যাণ্ডেল, প্রতিমায় ভরসা করতে হবে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের। যদিও এখন এই ভাবনা থেকে অনেকেই সরে এসেছেন। এই মহাবিদ্যালয়েরই প্রাক্তন, এমনকী বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকেই অনেকেই এখন এ রাজ্যের বিভিন্ন পুজো প্যাণ্ডেল, প্রতিমায় হাত লাগাচ্ছেন। আগে এ ধরনের আত্মবিশ্বাসই লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি বলেন, আগে নিজেকে শিল্পী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখতে হবে তবেই না একদিন সেই স্বপ্ন সাকার হবে। শিল্পীদের ভবিষ্যৎ আরও বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বলেই এ দিন আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।

লোকাল ফর ভোকালে গুরুত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে এ ধরনের ভাবনাই জন্মায়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যকে যখন থেকে অষ্টলক্ষ্মী হিসাবে ঘোষণা করেছেন তখন থেকে এই ভাবনা আরও বেশি করে বাস্তবায়িত হচ্ছে। শিল্পীরাও তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন শিল্পকলা প্রদর্শনী কাম বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে। শিল্পীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন প্রযুক্তির যুগে তাদের ভাবনার সাথে এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) সংমিশ্রণেরও পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এ দিন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রেভেল হেমেন্দ্র কুমার, অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য, মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষিকা তথা রাজ্যের বরিষ্ঠ শিল্পী সংঘমিত্রা নন্দী সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
