September 7, 2025

পিএম সূর্য ঘর: কৈলাসহর, ধর্মনগরে ব্যাপক সাড়া,ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সৌরশক্তিই একমাত্র ভরসাঃ রতন!!

 পিএম সূর্য ঘর: কৈলাসহর, ধর্মনগরে ব্যাপক সাড়া,ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সৌরশক্তিই একমাত্র ভরসাঃ রতন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শনিবার ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের উদ্যোগে পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনার মেগা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ। এছাড়া – উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, ভাইস চেয়ারপার্সন নীতীশ দে, টিএসইসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ বসু সহ চণ্ডীপুর ও গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রমুখ। বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ প্রথমে এসে কলাক্ষেত্র প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সোলার কোম্পানির ভেন্ডাররা যে স্টল নিয়ে বসে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সূর্যঘর নিতে আগ্রহী গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন।পরবর্তী সময় মূল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, দুই বছরে পঞ্চাশ হাজার গ্রাহকের বাড়িতে সূর্যঘর স্থাপন করে রাজ্য সরকার দেড়শ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী এই প্রকল্পের শুরু হয়। আগে বুঝতে হবে আমরা বিদ্যুৎ কোথা থেকে পাই ও বিদ্যুৎ কি? গ্যাস, জল, বাতাস, কয়লা ও সূর্য থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাই। আমাদের রাজ্যে আমরা বিদ্যুৎ পাই মূলত গ্যাস থেকে। কিছু পাই জল থেকে। কিন্তু সেটাও গতবার বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। গ্যাস খনিজ পদার্থ কোন না কোন দিন শেষ হয়ে যাবে। সূর্য ও বাতাস কোনদিন শেষ হবে না। গ্যাস না থাকার ফলে বর্তমানে রোখিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উৎপাদন কমে গেছে। পালাটানায় ৭২৬ মেগা ওয়াট উৎপাদন হওয়ার কথা, উৎপাদন হচ্ছে ৫২০ মেগা ওয়াট।কেন্দ্রীয় সরকার ও আমরা চিন্তা করেছি সবচেয়ে ভালো জিনিস সোলার পাওয়ার।তাই আমরা সোলার পাওয়ারের চেষ্টা করছি।তিনি বলেন,ছাদের ঘরে, টিনের ঘরে, মাটিতে
সোলার প্লেট বসানো যাবে।নির্দিষ্ট ভেন্ডার ও ডিপার্টমেন্টের লোকেরা
বুঝবে কোথায় প্লেট লাগালে আপনি
বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবেন।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভেন্ডাররা এই কাজ করবে।এক কিলোওয়াট সূর্যঘর
যোজনায় ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকা
খরচ পড়বে।কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি
দেবে ৩৩ হাজার টাকা।দুই কিলো
ওয়াটে ১৩০ থেকে ১৫৫ হাজার টাকা
খরচ পড়বে। ভর্তুকি পাওয়া যাবে ৬৬
হাজার টাকা। তিন কিলোওয়াটে ১৯০
থেকে ২২০ হাজার খরচ পড়বে।
সরকার ভর্তুকি দেবে ৮৫ হাজার ৮০০
টাকা।তিনি বলেন, ৩০ দিনের ভেতরে
ভর্তুকি সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে
ঢুকে যাবে।এদিন মন্ত্রী তার ভাষণে আরও বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
এদিকে এদিন প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর যোজনা প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ধর্মনগর বিদ্যুৎ অফিসে একদিবসীয় বিশেষ শিবির অনুষ্ঠিত হলো। সৌরশক্তির ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান এবং গ্রাহকদের নাম নথিভুক্ত করার উদ্দেশে আয়োজিত এই শিবিরে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে।শনিবার আয়োজিত এই শিবিরে ১৭৯ জন গ্রাহক নাম নথিভুক্ত করান বলে নিগমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিন সকাল দশটায় সূর্যের সাথে নতুন যুগের সূচনা, সূর্যের আলোয় বাঁচবে দেশ, পরিবেশ হবে সুন্দর বেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিবিরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ বসু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এজিএম গোপেশ ঘোষ, ডিজিএম দেবাশিস দাস, সিনিয়র ম্যানেজার বিপ্রজিত পাল, মুক্তা দে সহ নিগমের অন্যান্য আধিকারিকবৃন্দ। শিবিরের উদ্দেশ্য ও প্রকল্পের খুঁটিনাটি বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিজিএম দেবাশিস দাস। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেক গ্রাহক যেন নিজের বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেন। এতে প্রচলিত বিদ্যুৎ বিলের বোঝা অনেকটাই কমে আসবে। দিনের বেলায় উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে বিক্রি করে দেওয়ারও সুযোগ থাকছে। প্রকল্পের ভর্তুকি বিষয়ে তিনি জানান, গ্রাহকরা তিন কিলোওয়াট পর্যন্ত সংযোগে সরকারী ভর্তুকি পাবেন।তিনি আরও জানান,প্রথমে গ্রাহককে পুরো টাকা দিয়ে সংযোগ নিতে হবে। পরে ভর্তুকির টাকা সরাসরি গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা গ্রাহকদের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের মাধ্যমে বা ইএমআই-এর সুবিধাও রয়েছে। ধর্মনগরবাসীকে এই সুযোগ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার এখন ভর্তুকি দিচ্ছে, তাই এই সুযোগ সকলেরই নেওয়া উচিত। ভর্তুকি বন্ধ হয়ে গেলে এই সুবিধা আরও পাওয়া যাবে না।এদিনের শিবিরে মানুষের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে পরিবেশ বান্ধর শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *