October 21, 2025

টেকনো ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করলো ভোক্তা আদালত!!

 টেকনো ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করলো ভোক্তা আদালত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ইঞ্জিনীয়ারিং কোর্সে ভর্তির জন্য প্রত্যেক বছর রাজ্যে বহু বেসরকারী সংস্থা আসে।ভালো পরিকাঠামো, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করায়। ভর্তির আগে ভালো পরিমাণ টাকাও নেয়। কিন্তু বাস্তবে সব প্রতিষ্ঠানে সঠিক পরিকাঠামো পায়নি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা। অথচ তাদের কিছু করার থাকে না। এমনই এক ঘটনায় পশ্চিম জেলার ভোক্তা আদালত কলকাতার নিউ টাউন সিটিতে অবস্থিত টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মোটা জরিমানা করেছে। সেমেস্টারের টাকা, মামলার খরচ ছাড়াও চার লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক গৌতম সরকার। মামলাটি করেছিলেন আগরতলার কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা অঞ্জন দেববর্মা। অঞ্জন দেববর্মার আইনজীবী দীপঙ্কর শর্মা জানান, তার মক্কেলের ছেলে কুণাল দেববর্মা ২০২২ সালে ইঞ্জিনীয়ারিং পড়ার জন্য টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ছেলের পড়াশোনার জন্য প্রথম সেমেস্টারের আগাম ৯০ হাজার টাকা জমা করেন অঞ্জন বাবু।ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং-এ পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিল।ছেলেকে নিয়ে নিউ টাউনে টেকনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অঞ্জন দেখেন নেশায় আসক্ত বহু যুবক ঘোরাফেরা করছে। কয়েকদিন থাকার পরই কুণাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই কারণে টেকনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এখানে আর পড়াশোনা না করার কথা জানিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠান থেকেও বলা হয় টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কয়েকদিন টেকনো প্রতিষ্ঠানে থাকার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে কুণাল এবং তার বাবা অঞ্জন। তাদের দুজনকে পরে চেন্নাই একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়। ছেলেকে নিয়ে অঞ্জনবাবু রাজ্যে ফিরে এলেও তাদের ৯০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেয়নি টেকনো প্রতিষ্ঠান। প্রায় দেড় বছর অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত পশ্চিম জেলার ভোক্তা আদালতে মামলা করেন অঞ্জন দেববর্মা। এই মামলায় টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন প্রতিষ্ঠানকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে অঞ্জন দেববর্মাকে ৯০ হাজার টাকা সুদ সহ ফিরিয়ে দিতে। এছাড়া মানসিক যন্ত্রণা ও হেনস্তার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে চার লক্ষ টাকা মিটিয়ে দিতে। মামলার খরচ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে বিচারক। আদালতের এই রায়, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই বাইরে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে পড়তে গিয়ে সঠিক পরিষেবা পান না। ভালো হস্টেল পরিষেবা থেকে শুরু করে কলেজে গুণী শিক্ষক-শিক্ষিকা পান না। এসবের জন্য এখন ভোক্তা আদালতে মামলার দরজা খুলে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *