প্রবল বন্যায় বিধ্বস্ত পাঞ্জাব! জলের তলায় হাজারের বেশি গ্রাম, মৃত ২৯
রাজনৈতিক আখড়া থেকে বেরিয়ে এসেছে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে শক্তিশালী হবে গোটা দেশ তথা রাজ্যও। সোমবার তাই বিভিন্ন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও বললেন, দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের বাম রাজত্বে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে একটি রাজনৈতিক আখড়া বানিয়ে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই রাজনৈতিক আখড়া থেকে বেরিয়ে এসেছে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা।
এডিনগরস্থিত স্টেট পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টারে এদিন ছিলো দুদিনব্যাপী পঞ্চায়েতী রাজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কার্যক্রমের প্রথম দিন।কার্যক্রমের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা বলেন, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত আমাদের অন্যতম ভিত্তি। এর মাধ্যমেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।কিন্তু একেই আবার বিগত পঁয়ত্রিশ বছরের রাজত্বে রাজনৈতিক আখড়া বানিয়ে রাখা হয়েছিলো।যদিও এই অবস্থা এখন আর নেই। সাধারণ মানুষের জন্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সকলেই এই পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যে প্রায় ষাট থেকে সত্তর শতাংশ মানুষ গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করেন। কার্যত তাদের কথাও মাথায় রাখতে হবে আমাদের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর বর্তমান সরকার পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেছে। গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন না হলে দেশ কিংবা রাজ্যও যে উন্নত হতে পারে না তা-ও জানতে হবে আমাদের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর অনেক গুরুদায়িত্ব রয়েছে। ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। আরও বলেন, ভারতবর্ষের একমাত্র রাজ্য ত্রিপুরা যেখানে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত পর্যন্তই অফিস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি মানুষের জন্য কাজ করার গতিও বৃদ্ধি পায় বলে তিনি মনে করেন। পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে সেদিন প্রশংসার সুরে ভরিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থায় বেশ ভালো কাজ করছে ত্রিপুরা। এক্ষেত্রে সাতটি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলির বিভিন্ন জেলার মধ্যে ত্রিপুরার গোমতী জেলা সর্বশ্রেষ্ঠ জেলার মর্যাদা পেয়েছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত ডেবুলেশন ইনডেক্সে এ বছর গোটা দেশের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে ত্রিপুরা। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত অ্যাডভান্সমেন্ট ইনডেক্সে পঞ্চায়েতীরাজ মন্ত্রকের ঘোষিত তালিকায় ত্রিপুরার মোট বিয়াল্লিশটি পঞ্চায়েত গ্রেড এ পেয়েছে। এছাড়াও ৭২৮টি পঞ্চায়েত পেয়েছে গ্রেড বি। গ্রেড সি পেয়েছে ৪০৬টি পঞ্চায়েত। তবে রাজ্যের কোনো পঞ্চায়েত গ্রেড ডি পায়নি। আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত দপ্তরের মন্ত্রী কিশোর বর্মণ, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, অধিকর্তা প্রসূন দে, ভারত ইনিসিয়েটিভ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা নবীন কুমার, কিশোর গিলানি সহ বিভিন্ন জেলার সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ আরও অনেকেই।
