উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ ভূমিধসে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সুড়ঙ্গে বন্দি ১৯ কর্মী!!
গণতন্ত্রের উপর আঘাত বরদাস্ত নয় : মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ১২৫তম মন কি বাত অনুষ্ঠানটি মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা রবিবার খোয়াই মহকুমার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে গিয়ে শুনলেন।জনজাতিদের সাথে নিয়ে এই প্রথমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজাতি গ্রামে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজাতি মা-বোনেরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে দারুণ খুশি হলেন এদিন।
আশারামবাড়ি বিধানসভার ত্রিশ নং বুথের পূর্ব তকছাইয়া গ্রামের কেরাং পাড়া বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর ১২৫তম মন কি বাত অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক এমডিসি, মন কি বাত অনুষ্ঠানের রাজ্য
ইনচার্জ রতন ঘোষ, বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির সভাপতি বিনয় দেববর্মা, জেলা প্রশাসন এবং মহকুমা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক সহ গ্রামের বিভিন্ন মানুষজন।প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে এই গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। তিনি বলেন, শান্তি না থাকলে রাজ্যের অগ্রগতি সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার রাজ্যের জাতি এবং জনজাতিদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন পরিকল্পনার ভিত্তিতে কাজ করছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, মানুষের গণতন্ত্রের উপর কোনো ধরনের আঘাত আনা হলে তা কঠোর হাতে মোকাবিলা করার জন্য পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের জনজাতি অঞ্চলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের এডিসি অঞ্চলগুলোতে উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এডিসিকে ১৭০ কোটি টাকা দিয়েছিলো। ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজ্য সরকার দিয়েছে ৮৬০ কোটি টাকা। তিনি বলেন, জাতি জনজাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রাখতে হবে। সেই ভ্রাতৃত্ববোধ বিনষ্ট করার জন্য বাইরে থেকে সুড়সুড়ি আসবেই। সেগুলো শক্তহাতে মোকাবিলা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, বৃষ্টির পরই ভগ্ন জাতীয় সড়কগুলো নতুন রূপে ঠিক হয়ে যাবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি রেফারেল হাসপাতাল তৈরি করা হবে। চিকিৎসার জন্য যেন কাউকেই বহিঃরাজ্যে যেতে না হয় সেই অনুযায়ীই পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জনজাতিদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ রাজ্যের মোট সাতজন জনজাতিকে পদ্মশ্রী উপাধিতে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও আগরতলা বিমানবন্দরকে মহারাজার নামে অর্পণ করার পাশাপাশি আগরতলাতে বসানো হয় মহারাজার মর্মর মূর্তি।জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হচ্ছে আরও সরকারী হোস্টেল, তৈরি হচ্ছে আরও একলব্য স্কুল।এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের কি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে জনজাতি এলাকায় দ্রুত অগ্রগতির কাজ করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।