আপত্তিকর কনটেন্ট’ বানাতে বাক্স্বাধীনতার দোহাই দিতে পারবেন না নেটপ্রভাবীরা!!
চিনকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, শুল্কযুদ্ধ ঘিরে ফের উত্তেজনা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- বাণিজ্যিক স্বার্থে আঘাত লাগলে আমেরিকা চাইলে চিনকে ধ্বংস করে দিতে পারে—এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে বসেই এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ট্রাম্প জানান, চিনের হাতে কিছু অস্ত্র থাকলেও আমেরিকার হাতে আরও শক্তিশালী “কার্ড” রয়েছে। তাঁর কথায়, “ওদের হাতে কিছু তাস আছে, কিন্তু আমাদের হাতে অসাধারণ তাস আছে। আমি সেই তাস খেলতে চাই না। যদি খেলি, চিন ধ্বংস হয়ে যাবে।” যদিও একইসঙ্গে তিনি বলেন, বেজিঙের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই তাঁর লক্ষ্য।
মূল সমস্যা ঘুরপাক খাচ্ছে বিরল খনিজ চুম্বককে কেন্দ্র করে। বিশ্ববাজারে এই খনিজের প্রায় ৯০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে চিন। ট্রাম্প আশঙ্কা করছেন, চলমান সংঘাতের জেরে বেজিং হয়তো আমেরিকার জন্য চুম্বক রফতানি বন্ধ করে দিতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “চিন যদি আমাদের চুম্বক না দেয়, আমরা ওদের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক বসাব।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম দিকে চিন সাময়িকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চুম্বক রফতানি কমিয়ে দিয়েছিল। তবে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, জুন মাসে রফতানি ৬৬০ শতাংশ এবং জুলাইয়ে আরও ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহে চিনা বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে আলোচনার জন্য পৌঁছাতে পারে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর রিপোর্ট।
চুম্বকের পাল্টা অস্ত্র হিসেবেই ট্রাম্প তুলে ধরেছেন আমেরিকার বিমান শিল্পকে। তাঁর দাবি, আগে একবার চিন রফতানি বন্ধ করার পর ওয়াশিংটনও বোয়িং বিমানের যন্ত্রাংশ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল। তাতে প্রায় ২০০টি চিনা বিমান মাটিতে বসে গিয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, চিনকে আলোচনায় নামার আগে চাপের মুখে ফেলতেই এ বার কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ট্রাম্প। ফলে চলতি সপ্তাহের বৈঠক ঘিরে দুই দেশের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ আরও উত্তপ্ত আকার নিতে পারে।