August 23, 2025

রাজ্যেও শুরু ম্যাঙ্গোস্টিন, রামবুটান, অ্যাভোকাডো চাষ,শীঘ্রই আলুবীজে স্বনির্ভর হবে ত্রিপুরা: রতন!!

 রাজ্যেও শুরু ম্যাঙ্গোস্টিন, রামবুটান, অ্যাভোকাডো চাষ,শীঘ্রই আলুবীজে স্বনির্ভর হবে ত্রিপুরা: রতন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ত্রিপুরার কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর রাজ্যের কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে একের পর এক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো রাজ্যে ম্যাঙ্গোস্টিন, রামবুটান এবং অ্যাভোকাডো ফলের চাষ শুরু হয়েছে। রাজ্যের নাগিছড়া উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে এই বিশেষ ফলগুলির চাষ শুরু হয়েছে। শুক্রবার নাগিছড়া উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ পরীক্ষামূলকভাবে বিশেষ ফলগুলোর চাষে সফলতা দেখে খুশি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ম্যাঙ্গোস্টিন একটি অত্যন্ত দামি ফল। অ্যাভোকাডো আবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। আগে এই ফলগুলি আমাদের রাজ্যে চাষ করা হতো না। এখন আমরা শুরু করেছি। কর্ণাটক থেকে দুটি ম্যাঙ্গোস্টিন ফলের চারা এনে রোপণ করা হয়েছিলো নাগিছড়া উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রে। সেই গাছগুলোতে এখন দারুণ ফল এসেছে।


এর থেকে স্পষ্ট, ত্রিপুরার মাটি ও জলবায়ু ম্যাঙ্গোস্টিন ফল চাষের জন্য উপযোগী। পাশাপাশি রামবুটান ফলের লাল ও হলুদ জাতও চাষ হচ্ছে। এই ফলের ফলনও বেশ ভালো। মন্ত্রী আরও বলেন, কিউই, ব্লুবেরি ও ব্ল্যাকবেরি চাষেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নাগিছড়ায় সফলভাবে উৎপাদন হলে কৃষকদের এগুলি চাষে উৎসাহিত করা হবে। মন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্যে ৪৬ হেক্টর জমিতে অ্যাভোকাডো ফলের চাষ করা হচ্ছে। এদিন মন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান, আলু উৎপাদনেও রাজ্য সরকার বড় লক্ষ্য স্থির করেছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় ২৩,৭৪৬ জন কৃষক মোট ৭,৬২২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করছেন। আগে কৃষকদের আলু বীজ কিনতে হতো মহারাজগঞ্জ বাজার, পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব থেকে।


উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রে ‘ট্রু পটেটো সিড’ থাকলেও তার দাম বেশি।তাই ২০২৩-২৪ সালে নতুন প্রক্রিয়ায় আলু চাষ শুরু করা হযেেেছ। ২০২৪-২৫ সালে ৪১০ জন কৃষককে ১২৮ কানি জমির জন্য বীজ দেওয়া হয়েছিলো। এবার ২,০৮৭কানি জমির জন্য বীজ দেওয়া হবে, যার মধ্যে ২৫০ কানি জমিতে অর্গানিক আলু চাষ হবে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে আলুবীজ উৎপাদনে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হওয়া। এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষে এখন সংযোজিত হয়েছে MOVCDNER (ত্রিপুরা অর্গানিক) এবং ত্রিপুরা স্টেট ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। এর ফলে ২০২৫-২৬ সালে ত্রিপুরার প্রায় অর্ধেক আলুচাষিকে এর আওতায় আনা হবে। ত্রিপুরায় মোট আলুচাষির সংখ্যা ২৩,৭৪৬। টিস্যু কালচার থেকে উৎপন্ন আলুর চারা ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে। এই বছরে প্রায় ২,৫১২ কানি এলাকায় এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। এদিন অন্য একটি প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, জম্পুই পাহাড়ে সুপারি চাষিদের ৪০টি ব্যাটারি চালিত স্প্রে মেশিন, কীটনাশক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে সুপারি চাষিরা পোকার আক্রমণ থেকে তাদের ফসলকে রক্ষা করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *