স্বাধীন ব্রু ল্যান্ডের ছক ফাঁস,কাঞ্চনপুর থানার অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো পুলিশ!!
শহরের প্রাণকেন্দ্রে উড়ালপুল, বিশেষজ্ঞদের মতে,পরিকল্পনায় সুদূরপ্রসারী ভাবনার অভাব!

অনলাইন প্রতিনিধি :-যেকোনো জনকল্যাণমুখী সরকারের কাজের প্রথম লক্ষ্য এবং অগ্রাধিকার থাকে উন্নয়ন। এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নানাভাবে হতে পারে। কিন্তু সব উন্নয়নের লক্ষ্যই থাকে জনগণ।তাই সরকারের যে কোনও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয় জনগণের সার্বিক কল্যাণের বিষয়টি মাথায় রেখে। আর সেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যদি বড় আকারের হয়, তাহলে অবশ্যই সেই উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা হতে হবে সুদূরপ্রসারী। বিশেষ করে পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প যদি হয়, তাহলে সেই প্রকল্পের পরিকল্পনা করতে হবে বড় আকারে। অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। যাতে করে বর্তমানের সাথে সাথে ভবিষ্যতেও প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা এবং গুরুত্ব দুটোই বজায় থাকে।পরিকল্পনার পিছনে যাতে সুদূরপ্রসারী ভাবনা-চিন্তা প্রতিফলিত হয়।বিশেষ করে প্রকল্পের পিছনে যদি বিশাল পরিমাণ অর্থ সংক্রান্ত বিষয় জড়িত থাকে, তখন সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক ভাবনা চিন্তা করতে হয়। যদি সেটা না করা হয়, তাহলে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠবেই। শুধু অর্থ খরচ করাই নয়, লক্ষ্য রাখতে হবে সেই অর্থ যেন সঠিকভাবে জনকল্যাণের কাজে লাগে। লোক দেখানো উন্নয়ন নয়, যেটা দেখে ষাট, সত্তর, একশ বছর পরেও মানুষ গর্ব করে বলতে পারে। এটাই হলো প্রকৃত উন্নয়ন।
এই কথাগুলো বলার একটাই কারণ, বর্তমান রাজ্য সরকার আগরতলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ২.৭কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উড়ালপুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৪০৯ কোটি টাকার এই বৃহৎ প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই কারণে যে, বাম আমলে বড়দোয়ালী থেকে ফায়ার সার্ভিস চৌমহনী পর্যন্ত নির্মিত উড়ালপুলে রপ্রসারী পরিকল্পনা ছিলো না, তেমনি বর্তমান সরকারের আমলে গৃহীত উড়ালপুল নির্মাণের সিদ্ধান্তের পেছনে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অভাব রয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।আগরতলা শহর তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে।দক্ষিণ, সেন্ট্রাল এবং উত্তর জোন।হাওড়া নদী এবং কাটাখালের মধ্যবর্তীবঅংশটি হচ্ছে সেন্ট্রাল জোন।শহরের মূল অংশটিই হচ্ছে সেন্ট্রাল জোন।বিস্ময়ের ঘটনা হলো, আজ পর্যন্ত কোনো সরকারই দক্ষিণ জেনকে সরাসরি উত্তর জোনের সাথে সংযুক্তবকরার কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি।দক্ষিণ জোন থেকে উত্তর জোনে যেতে হলে, অথবা উত্তর জোন থেকে দক্ষিণ জোনে যেতে হলে সকলকে ভায়া সেন্ট্রাল জোন হয়েই যাতায়াত করতে হয়। এতে করে সেন্ট্রাল জোন অর্থাৎ শহরের মূল অংশে চাপ
পড়েছে।সেই চাপ বাড়তে বাড়তে
এখন ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
রাজধানীর দক্ষিণ ও উত্তর জোনের
জনগণকে আজ ও সেন্ট্রাল জোনের উপর নির্ভরশীল। বিশেষজ্ঞদের মতে সেন্ট্রাল জোনটি ইন্ডিপেনডেন্ট হওয়া জরুরি ছিলো। তাহলে চাপ কম পড়তো। অথচ শহরের দক্ষিণ জোনে রয়েছে আগরতলা রেল স্টেশন। আর উত্তর জোনে রয়েছে এমবিবি বিমানবন্দর। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই দুটি প্রধান কেন্দ্রই রয়েছে শহরের দুই প্রান্তে। বিশেষজ্ঞদের মতে বড়দোয়ালী থেকে ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী পর্যন্ত যে উড়ালপুল নির্মাণ হয়েছে, সেটা আরও বড় পরিকল্পনায় দুর্গা চৌমুহনী হয়ে, বড়জলা পঞ্চবটী পর্যন্ত নিয়ে গেলে, অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো। সেন্ট্রাল জোনের উপর চাপ অনেকটাই কমে যেতো। রাজ্যের তিন জেলার জনগণের এবং পশ্চিম জেলার একটা বড় অংশের মানুষের বিমানবন্দরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা হতো। সেন্ট্রাল জোনের উপর অনায়াসে চাপ কমতো।কিন্তু সেই পরিকল্পনা হয়নি। (চলবে)