আমেরিকার মাটি থেকে পরমাণু হুমকি! পাক সেনাপ্রধানকে ভারতীয় জবাব— “মাথা নত নয়”
৬টি ডিগ্রি কলেজের মাস্টার ডিগ্রি কোর্স নিয়ে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সাধারণ ডিগ্রি কলেজের মাস্টার ডিগ্রি কোর্সের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠল।শুধু তাই নয়, কেন ন্যূনতম পরিকাঠামো ছাড়া রাজ্য সরকারের ৬ সাধারণ ডিগ্রি কলেজে মাস্টার ডিগ্রি কোর্সে পঠনপাঠন চালু হল? এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা। বর্তমান পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে যেকোনো মুহূর্তে মাস্টার ডিগ্রি কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অনুমোদন বাতিল হতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত মাস্টার ডিগ্রি কোর্সের বেহাল দশার মান উন্নয়ন নিয়ে শীতঘুমে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর। এরই খেসারত দিচ্ছেন রাজ্যের পড়ুয়ারা।
জানা গিয়েছে ২০২২ রাজ্য সরকারের ৬ টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়াশোনা শুরু হয়েছে।অভিযোগ মাস্টার ডিগ্রি কোর্স চালুর সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিতিমালা মানা হয়নি। এক প্রকার তড়িঘড়ি কোর্স চালু করা হয়েছে।
অবাক করার বিষয় হল, গত সাড়ে তিন বছরেও ইউজিসির নির্দেশিকা কার্যকর হচ্ছে না। এখন এই সব বিষয়গুলি প্রমাণ সহ কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে ও গিয়েছে। তাই যেকোন মুহূর্তে মাস্টারডিগ্রি কোর্স বন্ধ হচ্ছে বলে খবর। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই বৈঠকের পর বৈঠক হচ্ছে দপ্তরে।
উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রেখবর, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬ টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে মাস্টার ডিগ্রি কোর্স চালু করা হয়। রাজধানী আগরতলার এমবিবি কলেজ ও মহিলা কলেজ, ধর্মনগর কলেজ, উদয়পুর কলেজ, কৈলাসহর ও বিলোনীয়া কলেজে ইংরেজি ও বাংলায় এম এ কোর্স চালু করল শিক্ষা দপ্তর।উভয় কোর্সে ৩০ টি করে মোট ৬০টি আসন রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজি কোর্সে ২০ টি করে মোট ৪০ টি আসনে পঠনপাঠন চালু হয়ে যায়।
অভিযোগ, রাজ্যে রাতারাতি মাস্টার ডিগ্রি কোর্স চালু হলেও গত সাড়ে তিন বছরে মাস্টার ডিগ্রি কোর্সের জন্য একজনও অধ্যাপক / অধ্যাপিকা নিয়োগ হলো না। একাংশ অতিথি শিক্ষক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পঠন পাঠন। স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য নিয়মিত পদে অধ্যাপক অধ্যাপিকা নিয়োগ তো দূর অস্ত। এর মধ্যে তিনটি কলেজে বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে একজনও অতিথি শিক্ষক শিক্ষিকা পর্যন্ত নেই। জেরক্স নির্ভর পড়াশোনা জুটেছে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের।
জানা গিয়েছে, মাস্টার ডিগ্রি কোর্সের জন্য নূনতম বেতনে নিযুক্ত অধিকাংশ অতিথি শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য
গ্রন্থাগার (লাইব্রেরি) নেই। পাঠ্যপুস্তক নেই। ছাত্র ছাত্রীদের জনই নেই ক্লাস রুম। ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। সাধারণ ডিগ্রি কলেজের ক্লাস রুম গুলিতে মাস্টার ডিগ্রি কোর্স চালু করে দেওয়া হয়েছে। এইসব জ্বলন্ত সমস্যা চাপা দিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তর ছয়টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করে দিয়েছে, যা ভূভারতে ব্যতিক্রম। অভিযোগ, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উপর চাপ দিয়ে প্রথম ৬ টি ডিগ্রি কলেজে মাস্টার ডিগ্রি কোর্স চালু হয়।
ছাত্রছাত্রী ও কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের অভিযোগ, যেখানে কলেজগুলিই বর্তমানে শিক্ষক ও পরিকাঠামোগত সমস্যায় ধুঁকছে। সেখানে উল্লেখিত কলেজগুলিতে দুটি বিষয়ে এম এ কোর্স চালু করার যৌক্তিকতা কোথায়? প্রফেসর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ। ইংরেজি ও বাংলা এমএ কোর্সে কারা পড়াবেন? কেন অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ করা হলো না? ক্লাসরুম, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের ব্যবস্থার জন্য আসা অর্থের কি হলো? এ সব প্রশ্নেরও এখন জবাব নেই। অভিযোহ, রাজ্য সরকার- উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের ব্যর্থতার জন্য মাত্র ৩ বছরে মধ্যেই মাস্টার ডিগ্রি কোর্স মুখ থুবড়ে পড়েছে। মাস্টার ডিগ্রি কোর্সে পড়াশোনার নূন্যতম পরিকাঠামো ক্ষুব্দ ছাত্রছাত্রীরা।