মানুষের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদানই সরকারের মূল লক্ষ্য: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের বিভিন্নভসমস্যা ও তা নিরসনের উপায় খুঁজতে বৃহস্পতিবার মহাকরণের ভিডিও কনফারেন্স হলে টাস্ক মনিটরিং সিস্টেমের (টিএমএস) একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পৌরোহিত্যে আয়োজিত এই সভায় রাজ্যের সবগুলি জেলার জেলাশাসকেরাই ভার্চুয়ালি অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের সচিব ও অধিকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজগুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি করে কার্যকরী ভূমিকার কথা জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানেই বিভিন্ন রাস্তার পাশে বাজার বসে যাচ্ছে। এর ফলে ট্রাফিক ব্যবস্থা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি দূষণের পরিমাণও বাড়ছে। এদিক থেকে প্রাথমিকভাবেই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি। সভায় মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, রাস্তায় ভিআইপি চলাচলের ক্ষেত্রেও ট্রাফিক ব্যবস্থা যেন সাধারণ নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের পরিপন্থী না হয়। এক্ষেত্রে সরকারের মূল লক্ষ্য যে সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করা, তা-ও এদিন মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
সরকারী কর্মচারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায় কর্মরত কর্মচারীদের সময় মতো অফিসে আসতে হবে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আরও বেশি যত্নবান হতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব ও অধিকর্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন তিনি। এছাড়াও আয়োজিত
সভা থেকে আগরতলা পুর নিগম এলাকার নানা সমস্যা দূরীকরণ এবং সৌন্দর্যায়ন রক্ষা করতে প্রয়োজনভেদে টাস্ক ফোর্সের সংখ্যা বাড়াতেও নির্দেশ দেন তিনি। সতর্কবার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, যেকোনো সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে সর্বোচ্চ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোনো বাধা বরদাস্ত করা হবে না। আইন আইনের পথেই চলবে।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরগুলির বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও তিনি গাঁজা চাষ, বিক্রি, পাচারের সঙ্গে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যও আরক্ষা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। সভায় রাস্তার পরিকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজ্যের বিভিন্ন শহরের যানজটের সমস্যা, আরক্ষা, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ দেন।সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব হর ঘর তিরঙ্গা অনুষ্ঠান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। মোেট তিনটি পর্যায়ে আগামী পনেরো আগষ্ট পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হর ঘর তিরঙ্গা উৎসব জাতীয় গর্বের প্রতীক। কিন্তু সমস্ত রাজ্যবাসীর সাথে প্রশাসনের সকলকেও এই অনুষ্ঠান উদ্যাপনে যুক্ত হয়ে আক্ষরিক অর্থেই অনুষ্ঠানটিকে সফল করে তুলতে হবে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বাড়িঘর এবং বিভিন্ন অফিস আদালতে সর্বত্রই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতি নির্দেশিকা পালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।