ক্লাস রুমে বসবে সিসি ক্যামেরা,রাজ্যের সব ডিগ্রী কলেজে চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ডিগ্রি কলেজে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে রূপায়ণের জন্য তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা ২৮ টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ সহ বাকি সবগুলো ডিগ্রি কলেজে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া চালু হবে। শুধু তাই নয় ডিগ্রি কলেজের ক্লাসরুমগুলিতে সিসি ক্যামেরাও বসানোর সিদ্ধান্ত হচ্ছে।
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া পদ্ধতি সম্প্রীতি ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়ে গিয়েছে।এখন শিক্ষামন্ত্রকের এই নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের ডিগ্রি কলেজে চালু করতে হবে। যে সেমেস্টার পদ্ধতির নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণীকক্ষকে ন্যূনতম ১৮০ দিন পঠনপাঠন হওয়ার কথা। যা রাজ্যে হচ্ছে না। এই কারনে ডিগ্রি কলেজগুলিতে বামোমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত হচ্ছে।
যদিও সম্প্রতি ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া চালুর পরেই দেখা গেছে কতিপয় অধ্যাপক অধ্যাপিকারা এর বিরুদ্ধে সরব হন। তাদের দাবি ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া চালু করা যাবে না। এতে অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের সম্মানহানি হতে পারে।এই অযৌক্তিক দাবিকে সামনে এনে কতিপয় অধ্যাপকরা রাজ্যে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকরে সরাসরি বাধা দিচ্ছেন। অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের ঔদ্ধত্যপনার রিপোর্ট ইতিমধ্যে ভারত সরকারের কাছেও গিয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের সাধারণ ডিগ্রী কলেজে যাতে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া চালু না হয়।এ লক্ষ্যে কতিপয় শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটি বৈঠক করেছেন।
অবাক করার বিষয় হলো ভারত সরকার বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিল কার্যকর করেছে। ফলে ত্রিপুরা সহ সারা ভারতবর্ষে সবগুলি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতির মাধ্যমে প্রত্যেকদিন নিজেদের উপস্থিতির জানান দিতে হচ্ছে।
শুধু তাই নয় মেডিকেল কলেজের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর,অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং প্রফেসর বা সকাল ৯ টার মধ্যে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের কর্মস্থলে যাচ্ছেন।তারা সকলেই ইউজিসির বেতন ক্রম পাচ্ছেন। এমনকি সম্প্রীতি ত্রিপুরার মেডিকেল কলেজে কিছু সংখ্যক অধ্যাপক অধ্যাপিকারা বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্সস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিত জানান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে তাদের দুমাসের বেতনও হয়নি।
শুধু তাই নয়া দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ ভারতের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বামোমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। আইআইটি, এনআইটি, আইআইএম, সহ সর্বভারতীয় সকল স্তরের – সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া কার্যকর হয়েছে। নয়াদিল্লী স্থিত মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে, ভারত সরকারের অন্যান্য মন্ত্রকে এবং ওএনজিসি, গেইল, আইসিএআর, – সিএসআইআর, পর্যন্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অফিসে প্রত্যেকদিন সকাল ৯ টার মধ্যে স্বাক্ষর করছেন।
ত্রিপুরা যাচ্ছে উল্টো পথে।রাজ্যে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় অধ্যাপক অধ্যাপিকারা বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে।শুধু তাই নয় রাজ্য সরকারের ২৮ টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ সহ বাকি সবগুলো ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকারা বায়োমেটিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে।তারা সবাই ইউজিসির বেতনক্রম পাচ্ছেন।
অভিযোগ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে, এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্য সরকারে সাধারণ ডিগ্রি কলেজ এবং অন্যান্য ডিগ্রি কলেজের একশ্রেণীর অধ্যাপক বছরের বেশির ভাগ সময় নানা অজুহাতে বহিঃরাজ্যে থাকছেন। অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন তারা রাজ্যে থাকলেও সেমিনারের নাম দিয়ে যথাসময় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আসেন না।এখন আবার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের কর্মশালার নামে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসার প্রবণতা শুরু হয়ে গিয়েছে।বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো ছাত্রছাত্রী সহ গবেষকরা।জানা গিয়েছে,ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক অধ্যাপক অধ্যাপিকা বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।তারা এখন গত দুদিন ধরে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের স্বাক্ষর করেছেন। তবে একটি অংশ বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স প্রক্রিয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমে গিয়েছেন।