August 2, 2025

ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ইস্যুতে অমিত শাহর দরবারে তিপ্রা মথা!!

 ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ইস্যুতে অমিত শাহর দরবারে তিপ্রা মথা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে বৈঠকে মিলিত হলেন তিপ্রা মথা নেতৃত্ব। আজ নয়াদিল্লীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আয়োজিত বৈঠকে মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ, সাংসদ কৃতি সিং দেববর্মণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ২০২৪ সালে গত দুই মার্চ নয়াদিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পৌরোহিত্যে উপজাতি জন সমাজের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বহুচর্চিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয় ত্রিপাক্ষিক চুক্তির দাবি পূরণের লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন এই কমিটির রিপোর্ট ভারত সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেশের পর ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ঘিরে আজকের বৈঠক ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক অংশ থেকে প্রচার ছিল ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে ভারত সরকার বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের সাথে বৈঠক করবেন না।ত্রিপাক্ষিক চুক্তির নামে উপজাতি জনসমাজকে ঠকানো হয়েছে। তবে আজকের বৈঠকের পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ভারত সরকার ত্রিপাক্ষিক চুক্তি শর্ত পূরণে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে,এ দিনের বৈঠকে মথা সুপ্রিমো সহ প্রতিনিধি দলকে অবিলম্বে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি শর্ত পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক প্রসঙ্গে মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ নয়াদিল্লী থেকে জানান, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সাথে একমত। তিনি চাইছেন উপজাতি জন সমাজের এত সমাজে উন্নয়ন হোক ত্রিপুরায়। রাজ্যের যে প্রভাবশালী রাজনৈতিক অংশটি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যে কোনও প্রান্তে পাহাড়ে-সমতলে রাজনৈতিক হামলা হলে দেখা যাচ্ছে এর সাথে মথার নেতা মন্ত্রী দেওয়া হচ্ছে। যাতে রাজ্যে পাহাড়ি বাঙালি মধ্যে বিভেদ তৈরি করা যায়। সাথে প্রত্যেকদিন আমি সহ মথার নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই সবগুলো বিভিন্ন প্রমাণসহ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আজ তুলে ধরা হয়েছে। এখন রাজ্যে ঐক্য সংহতি রক্ষায় এক উপজাতি জনসমাজের এত সমাজে উন্নয়নে এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিবে ভারত সরকার। তিনি বলেন প্রচার করছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সাথে বৈঠক করবেন না। তারা এখন কোথায়? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ভূয়সী প্রশংসা করে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন ত্রিপাক্ষিক চুক্তির জন্যে রাজ্যের জাতি-উপজাতি, পাহাড়ি-বাঙালি সহ মানুষের অর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে। রাজ্যের উপজাতি জন সমাজের এখনও অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের মতো অধিকার চাইতে হচ্ছে। এটা আমাদের কাছে বেদনাদায়ক। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের দাবি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ১২৫তম সংবিধান সংশোধনী বিলে অনুমোদন প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমরা সব অধিকার ফিরে পাবো। মানুষ তাদের ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, আর্থ সামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার, অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের অধিকার ফিরে পাবে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের, স্কুল, কলেজ, টেকনিকেল কলেজ, ওমেন্স কলেজ, পানীয় জলের সমস্যা নিরসন, বিদ্যুৎ সমস্যার নিরসন, হাসপাতাল সহ আর্টিকেল ২৩-তে অনুমোদন প্রদান ও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন করতে হবে। এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে আপনারা কেন বাধা দিচ্ছেন।তিনি বলেন, রাজ্যের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ক্ষমতার দম্ভে যা করছেন। ঠিক হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *