ছাত্র ভর্তির অনৈতিক দাবিতে উত্তাল কলেজ,শিক্ষকদের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ, অশ্লীল গালাগাল!!
তোলা আদায় করতে,হাইকোর্টের গাড়ি আটকে দুই চালককে মারধর, হাজতে চার!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা হাইকোর্টের গাড়ি আটকে চালকদের কাছ থেকে তোলা আদায় করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে চার যুবক। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে শহরের যোগেন্দ্রনগরের রেন্টার্স সোসাইটিতে। ঘটনায় পূর্ব আগরতলা থানায় এফআইআর দাখিল করা হয়েছে। ত্রিপুরা হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার সন্দীপ দে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কলেজটিলা ফাঁড়ির ওসি শ্যামল দেবনাথ এই মামলার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন। তিনি জানান, ধৃতরা বহুদিন ধরেই রাস্তায় যানবাহন আটক করে তোল্লা আদায় করছিল।হাইকোর্ট লেখা গাড়ি দেখেও টাকা আদায় করতে যায়। যোগেন্দ্রনগর এলাকার চার যুবককে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলো রড, সিমেন্ট ব্যবসায়ী সহদেব দেবনাথ, সুমন সরকার, নিলয় সরকার এবং শিবু ভৌমিক। তাদের চারজনকেই আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এফআইআরে হাইকোর্টের অ্যাসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার সন্দীপ দে জানান, গত নয় জুলাই হাইকোর্ট থেকে একটি গাড়িতে দুই চালক জীবন দেবনাথ এবং জেইল সিং কলই আদালতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড ফাইল যোগেন্দ্রনগরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ পালিতের বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।তারা হাইকোর্টের টিআর০১ এইচ ১০০৪ নম্বরের গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। রেন্টার্স সোসাইটির রাস্তার মাঝে একটি বাইক রেখে তাদের গাড়িটি থামানো হয়। এরপরই টাকা দাবি করে গাড়ি চালকদের কয়েকজন দুষ্কৃতী মিলে মারধর শুরু করে। হাইকোর্টের দুই গাড়ি চালক দুষ্কৃতীদের কাছে নিজেদের পরিচয়ও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তাদের মারধর করা হয়। পরদিন এই ঘটনায় পূর্ব আগরতলা থানায় মামলা করা হয়। এই মামলা পেয়ে পূর্ব আগরতলা থানা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৬ (২), ১২১ (২), ৩২৪ (২), ৩৫১ (২) এবং ৩ (৫) ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে। মামলার নম্বর ৭৪/২০২৫। কলেজটিলা ফাঁড়ির ওসি জানান, ঘটনার তদন্তে নেমে জানা যায় চারজন মিলে হাইকোর্টের গাড়ি আটকেছিল। তারা গাড়ি চালকদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে। আগেও ধৃতরা এই কাজ করেছে। রাস্তায় বাইক রেখে তারা গাড়ি থামিয়ে টাকা দাবি করত। এই চক্রের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় শহরের যোগেন্দ্রনগর এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি ভূমিকা নিয়েও। কেননা, দুষ্কৃতীরা এই কাজ অনেকদিন ধরে চালিয়ে গেলেও পুলিশ ছিলো ঘুমে। দুষ্কৃতীরা হাইকোর্টের গাড়ি থামিয়ে টাকা দাবি করার সাহস কীভাবে পেলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।