ছাত্র ভর্তির অনৈতিক দাবিতে উত্তাল কলেজ,শিক্ষকদের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ, অশ্লীল গালাগাল!!
বিশালগড়ে নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন মালু মাস্টার!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিশালগড়ে নক্ষত্রপতন। বিশালগড়ের মত একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষকতার মজবুত ভিত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন সকলের প্রিয় মৌল ভূষণ ভট্টাচার্যী (মালু মাস্টার)। পরাধীন ভারতবর্ষে সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করে আগরতলার নেতাজী স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে এমবিবি কলেজ থেকে সাধারণ গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬০ সালে রাজ্য সরকারের অধীন শিক্ষকতার পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতার কর্মজীবনে রাজ্য সরকারের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি।আমবাসার কুলাই থেকে শিক্ষকতার কর্মজীবন শুরু করে অমরপুর থেকে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। মাঝখানে বিশ্রামগঞ্জের গুলিরাইবাড়ি স্কুলে অনেকটা সময় তিনি শিক্ষকতা করেন। বিশালগড়ের কোনও স্কুলে তিনি শিক্ষকতা না করলেও অত্র এলাকার গরিব অংশের ছাত্র-ছাত্রীদের শেষ ঠিকানা ছিল এই মালু মাস্টার। একজন সাধারণ গ্র্যাজুয়েট টিচার হয়েও বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য বিভাগে সমান দক্ষতার অধিকারী ছিলেন তিনি। চারটি প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রী উনার কাছ থেকে শিক্ষকতার পাঠ নিয়ে রাজ্য ও দেশের পাশাপাশি আজ বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। বহু ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার, প্রফেসর, আইনজীবী উনার হাতে শিক্ষকতার পাঠ নিয়ে আজ সুনামের সাথে কাজ করছেন।গত ৬ জুলাই তিনি অসুস্থতা বোধ করায় হাপানিয়া হাসপাতালে ভর্তি করার পর সোমবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৪ বছর বয়সে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সহ তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রেখে গেছেন। বিশালগড়ের বহু গুণীজনদের বক্তব্য অনুযায়ী উনার বাড়িতে যারাই টিউশন নিতে আসতেন তাদের কেউই পড়া না দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারতেন না। বহু ছাত্র-ছাত্রীকে রাতে উনার বাড়িতেই রাত কাটাতে হয়েছে। উনার বাড়ি থেকেই তাদের খাওয়া-দাওয়ার পুরো ব্যবস্থা করা হতো। অন্যদিকে মালু মাস্টারের বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রীরা টিউশন নিতে গেলে অভিভাবকরাও থাকত এক প্রকার নিশ্চিন্তে।আর এই বিশেষ গুণগুলির জন্যই মালু মাস্টারকে আলাদা করে তুলত অন্যান্য শিক্ষকদের কাছ থেকে।