September 19, 2025

বিহার মডেলে ত্রিপুরাতেও সার্ভের দাবিতে,এবার কমিশনের দ্বারস্থ হবে মথা নেতৃত্ব : প্রদ্যোত!!

 বিহার মডেলে ত্রিপুরাতেও সার্ভের দাবিতে,এবার কমিশনের দ্বারস্থ হবে মথা নেতৃত্ব : প্রদ্যোত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।তিনি বলেন,রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ নেবে এর জন্য আমরা বসে থাকবো না। অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভারতের নির্বাচন কমিশনের সাথে মিলিত হবেন তিপ্রা মথা নেতৃত্বরা। শুধু তাই নয়, নয়া দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাথে মিলিত হবো আমরা। আজ নিজের সামাজিক মাধ্যমে এমনটাই জানালেন তিপ্রা মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। এই প্রসঙ্গে প্রদ্যোত কিশোর আরও বলেন, বিহার বিধানসভা ভোট ঘিরে ভারতের নির্বাচন কমিশন স্থানীয়ভাবে সার্ভে করছে। এই সার্ভে রিপোর্ট বলছে, বিহারে বিপুল পরিমাণে নাগরিক বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং নেপাল থেকে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।অবাক করার বিষয় হলো, তাদের প্রত্যেকের কাছে ভোটার আই কার্ড, আধার কার্ড সহ যাবতীয় সরকারী ডকুমেন্ট রয়েছে। যা আজ জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে এখন তোলপাড় সারা দেশ। কীভাবে বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং নেপালের নাগরিকরা ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব পেলেন?
প্রদ্যোত কিশোরের বক্তব্য, ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও ভারতের নির্বাচন কমিশনকে এ ধরনের একটি সার্ভে করা উচিত। ত্রিপুরাতেও অনুপ্রবেশ বিশাল পরিমাণ হচ্ছে। ত্রিপুরা তিন দিকে বাংলাদেশ ঘেরা। বিপুল পরিমাণে বাংলাদেশের নাগরিক এবং রোহিঙ্গারা ত্রিপুরাতে ঢুকে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, তাদের কাছে বর্তমানে ত্রিপুরার ভোটার আই কার্ড, আধার কার্ড সহ যাবতীয় সরকারী ডকুমেন্ট রয়েছে। তিপ্রামথা দলের পক্ষে এই বিষয়টি রাজ্যে তোলা হলেও কর্ণপাত করা হচ্ছে না। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যের রাজ্যপালের কাছেও ডেপুটেশন পেশ করেছে মথার বিধায়ক
দল। এমনকী রাজ্য সরকারের কাছে বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে। এরপরও পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ তুলেন প্রদ্যোত কিশোর।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রীতি দেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ভারতবর্ষের থাকার অধিকার নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ এডিসিতে কার্যকর হচ্ছে। রাজ্যের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ হচ্ছে না। উল্টো রাজ্যের একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠী অবৈধ অনুপ্রবেশ এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলেও পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এতে আদতে ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের সধারণ মানুষের। তিনি বলেন, আমি অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বললে একটি অংশ আমাকে বলছে আমি নাকি সাম্প্রদায়িক। এখন দেশের সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং ভারতের নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সরব হয়েছেন। যারা কুৎসা রটাচ্ছেন এখন এরা কোথায়? যারা অবৈধ অনুপ্রবেশের পক্ষে কথা বলেছে, তাদের নাম সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অচিরেই পদক্ষেপ হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রদ্যোত’ কিশোর।
তিনি বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে ভারতের নির্বাচন কমিশনের সার্ভে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলে যাতে করা হয়। এ লক্ষ্যে মথা এমডিসি, বিধায়ক, মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে যাচ্ছে। বিহারের অনুকরণে রাজ্যেও সার্ভে করার দাবিতে। তিনি বলেন, এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা রোহিঙ্গারা আগামী দিনে ত্রিপুরাতে সরকারী চাকরি নিয়ে নিবেন। এমনকী তারা মন্ত্রী ও বিধায়ক হতে পারেন। তাই আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *