ছাত্র ভর্তির অনৈতিক দাবিতে উত্তাল কলেজ,শিক্ষকদের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ, অশ্লীল গালাগাল!!
সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে বিভ্রান্ত না হতে আহ্বান,চলতি মাসেই দিল্লীতে অমিত শাহর সাথে বৈঠক: প্রদ্যোত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছে না তিপ্রা মথা।চলতি জুলাই মাসেই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে বৈঠক হবে নয়াদিল্লীতে। সাংসদ কৃতি সিং দেববর্মণ এবং মথার অন্যান্য বিধায়ক, কেবিনেট মন্ত্রীরাও পদত্যাগ করছেন না। বিভ্রান্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আজ এমনটাই বললেন তিপ্রা মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।
উল্লেখ্য, এদিন দুপুরে মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান গত ১৮ মাসেও
ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত পূরণ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিপ্রা মথা। মথা বিধায়কের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসেন মথা সুপ্রিমো।শুধু তাই নয়,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এবং মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এমনকী নয়াদিল্লী থেকে বিজেপির হাইকমান্ড পর্যন্ত মথা সুপ্রিমোর সাথে যোগাযোগ করেন।এরপরই মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ সাংবাদিকদের জানান বিজেপি সরকার থেকে তিপ্রা মথা সমর্থন প্রত্যাহার করছে না। বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা আবেগ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার সংক্রান্ত মন্তব্য করেছিলেন।তাই বিভ্রান্ত হওয়ার প্রয়োজ নেই।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, রাজ্যের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিজেপির সাথে এখন জোটে আছে তিপ্রা মথা। জুলাই মাসেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে বৈঠক নয়াদিল্লীতে হচ্ছে।এডিসির আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে অন্যতম ত্রিপাক্ষিক চুক্তি। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ভূয়সী প্রশংসা করে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির জন্য রাজ্যের জাতি-উপজাতি, পাহাড়ি-বাঙালি সহ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। রাজ্যের উপজাতি জনসমাজের এখনও অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের মতো অধিকার চাইতে হচ্ছে। এটা আমাদের কাছে বেদনাদায়ক।
২০২৪ সালের দুই মার্চ দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পৌরোহিত্যে বহুচর্চিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যা একটি অংশের সহ্য হচ্ছে না। তবে ভালো দিক হল রাজ্যের মানুষ এদের প্ররোচনায় পা দিচ্ছেন না।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ১২৫ তম সংবিধান সংশোধনী বিলে অনুমোদন প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমরা সব অধিকার ফিরে পাবো। মানুষ তাদের ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, আর্থসামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার, অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের অধিকার ফিরে পাবে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ, ওইমেন্স কলেজ, পানীয় জলের সমস্যা নিরসন, বিদ্যুৎ সমস্যার নিরসন, হাসপাতাল সহ আর্টিকেল ২৩-তে অনুমোদন প্রদান ও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন করতে হবে। এটাই হল সাংবিধানিক সমাধান। এর জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। কোনো প্ররোচনায় পা দিলে আদতে আমাদেরই ক্ষতি হবে। তাই তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
জানা গিয়েছে, মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার বিভিন্ন বক্তব্য এবং পদক্ষেপ ঘিরে ক্ষুব্ধ মথা নেতৃত্ব। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে মথা নেতৃত্ব। এদিকে, মথা সুপ্রিমো আরও জানান দলের সব সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন। এই অধিকার অন্য কারোর নেই।