ত্রিপুরার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক দাবি বাংলাদেশ হাইকমিশনারের!!
শীঘ্রই চিকিৎসক নিয়োগ,স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাস্থ্য পরিষেবার সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বর্তমান রাজ্য সরকার।মঙ্গলবার প্রজ্ঞা ভবনে জাতীয় চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে এ কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় একটি স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সাথে হাসপাতালগুলিতে আরও বেশি করে চিকিৎসক নিয়োগের জন্যও নীতিগত প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। শীঘ্রই চিকিৎসক নিয়োগের মধ্য দিয়ে হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক স্বল্পতা দূরীকরণের চেষ্টা করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এদিন জাতীয় চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সমস্ত চিকিৎসকদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে এরপরই তিনি বলেন, চিকিৎসকদের অত্যন্ত চাপের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। গোটা এই বিষয়টি সম্বন্ধে বুঝতে হবে সাধারণ মানুষকেও।চিকিৎসক দিবসে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. বিধান চন্দ্র রায়কেও এদিন স্মরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডা. বিধান চন্দ্র রায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। ১৮৮২ সালের ১ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬২ সালে তার এই জন্মদিনেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরবর্তী সময়ে গোটা দেশ তাঁর জন্মদিন ও মৃত্যু দিবসকে জাতীয় চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।তিনি বলেন,মাত্র ২৬ বছর বয়সে এমডি ডিগ্রি অর্জন করেন ডা.বিধান চন্দ্র রায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে বর্তমান রাজ্য সরকার। রোগীদের কল্যাণে নানা সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়টি সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও এ বছরের বাজেটে আইএলএস হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক চক্ষু হাসপাতাল গড়ে তোলার ব্যাপারেও আর্থিক সংস্থান রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রায় ১২২ কোটি টাকা ব্যয় করে বিশ্রামগঞ্জে একটি আধুনিক নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও প্রত্যেকটি জেলায় ২০ কোটি টাকা করে ব্যয়ে একটি করে নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে জিবি ও আইজিএম হাসপাতালের অতিরিক্ত চাপ কমাতে জেলা হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডাক্তারদের আরও বেশি করে পদোন্নতি প্রদানের কথা ভেবে দেখা হচ্ছে। একই সাথে নতুন ডাক্তার নিয়োগের জন্যও শীঘ্রই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব রাজীব দত্ত, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস, মেডিকেল এডুকেশনের অধিকর্তা ডা. এইচ পি শর্মা, এজিএমসির অধ্যক্ষ ডা. অনুপ সাহা, ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অরিন্দম দত্ত, ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শালু রায় সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।