ছাত্র ভর্তির অনৈতিক দাবিতে উত্তাল কলেজ,শিক্ষকদের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ, অশ্লীল গালাগাল!!
বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে চলেছে রাজ্যও: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-পরিকাঠামোগত
উন্নয়নের দিশাকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে রাজ্যও। বিভিন্ন জেলা, মহকুমাগুলিতেই এখন এই উন্নয়নের ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বৃহস্পতিবার সেই অনুযায়ী বিশালগড় টাউন হল থেকে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা ভার্চুয়ালি সাতটি নবনির্মিত ভবনের দ্বারোদঘাটন করেন।একই সাথে আরও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানের আগে কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের মধুপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নয়া পাকা ভবনেরও দ্বারোদঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মধুপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে ১.৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক ল্যাবরেটরি, ক্লাস রুম, কম্পিউটার সায়েন্স ল্যাব সহ মডার্ন টয়লেট ফেসিলিটি যুক্ত নবনির্মিত পাকা দ্বিতল ভবনের উদ্বোধনশেষে দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু মধুপুর স্কুলই নয়। এ রকম আরও পাঁচটি নতুন স্কুল বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে ৮ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে। এছাড়াও অন্যান্য স্কুলের মেরামতির জন্য আরও ১৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধুমাত্র কমলাসাগর বিধানসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ইতিমধ্যেই আরও ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মঞ্জুর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সরকারী বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীরা যেন অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন পরিবেশের মধ্য দিয়ে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। এই অনুষ্ঠানের পরই মুখ্যমন্ত্রী বিশালগড় টাউন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে রিমোটের বোতাম টিপে ৮.১০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বিশালগড় মহকুমাশাসক অফিস, ২.১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল ভবন নির্মাণের শিলান্যাস, ১১.৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে আট কিলোমিটার দীর্ঘ বিশালগড়-গোলাঘাটি সড়কের উদ্বোধন, দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ডেপুটি কালেক্টরদের জন্য চারটি টাইপ-৪ কোয়ার্টারের শিলান্যাস এবং সাতটি নতুন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির তথা সাব সেন্টার নির্মাণের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারী থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৬৩৮.৬৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করেছেন তিনি নিজে। এ থেকে বিরোধীরা প্রায়শই রাজ্যে নাকি উন্নয়নমূলক কাজ স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বলে যে অভিযোগ আনে, তা এই তথ্য থেকে বিরোধীরা নিশ্চয়ই উত্তর পেয়ে যাবেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সাল থেকে ২০৪৮ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের যে স্বপ্ন দেখছেন তাকে তিনি অমৃতকাল হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই সময়কালের মধ্যেই ভারতবর্ষ তার কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে গোটা দেশের সাথে রাজ্যও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ত্রিপুরা ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষের মধ্যে পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসেবে তৃতীয় স্থান দখল করেছে। মাথাপিছু গড় আয়ের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় স্থানে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির সাথে ১১-১২টি মৌ স্বাক্ষর করে রাজ্যে উগ্রপন্থার মতো জটিল সমস্যার সমাধান করে এই রাজ্য এখন অগ্রগতির পথে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এখনও পর্যন্ত ১৯,২৬২ জনকে সরকারী চাকরি প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে ২,৯৮৭ জনকে বিভিন্ন বেসরকারী কোম্পানিতে ও ৫,৭৩১ জনকে প্রাইভেট সিকিউরিটির মতো কোম্পানিগুলিতে রোজগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ গরিব অংশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সাড়ে চার লক্ষ ঘরের ব্যবস্থা করা, ৫৬ হাজার স্বসহায়ক দলের মহিলাদের বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে
স্বাবলম্বী করার চেষ্টা চলছে বলে জানান। যে কারণে রাজ্যে ৯১ হাজার লাখপতি দিদি হতে পেরেছে, আর এই সংখ্যাটা দিন দিন বেড়েই চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এভাবেই বিকশিত ভারতের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে রাজ্য বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।