ছাত্র ভর্তির অনৈতিক দাবিতে উত্তাল কলেজ,শিক্ষকদের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ, অশ্লীল গালাগাল!!
ইঙ্গিতপূর্ণ উপনির্বাচন!!

সদ্য সমাপ্ত ৪ রাজ্যের ৫টি বিধানসভা আসনের ফলাফল বের হয়েছে।এতে গুজরাটে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়েছে আপ। অন্যদিকে কেরলে সিপিএমকে ধাক্কা দিয়েছে কংগ্রেস, আর বাদবাকি আসনগুলিতে ক্ষমতাসীন দলই তাদের আসন অটুট রেখেছে।
গুজরাটে প্রায় তিনদশক ধরে ক্ষমতায় বিজেপি।কেউ দাঁত ফোটাতে পারছে না সে রাজ্যে। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় গুজরাটের একটি লোকসভা কেন্দ্রে জোর করে কংগ্রেসের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গুজরাটের একটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। সেই গুজরাটে উপনির্বাচনে বিজেপিকে হারানো চাট্টিখানি কথা নয়। আম আদমি পার্টি সেই কাজটিই করে দেখালো সেই রাজ্যে। যে কেন্দ্রে বিজেপি হেরেছে সেটা বিজেপির হাতছাড়া অবশ্য ২০০৭ সাল থেকে। আপ এই কেন্দ্রে আগেও জয়ী হয়েছিলো। কিন্তু গত বছর এই আপ বিধায়ক বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলো। পরবর্তীতে এই আসনটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই আসনটি এবার দখল করে আম আদমি পার্টি। বিজেপির শাসনকালে বিজেপিকে হারানো তাও উপনির্বাচনে তা মোটেও হাল্কা করার বিষয় নয়। তাই উচ্ছ্বসিত আম আদমি পার্টি এবং তার সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গুজরাটে আগামী ২০২৭ সালে বিধানসভা নির্বাচন।কংগ্রেস কিছুদিন আগে তাদের বর্ধিত অধিবেশন গুজরাটের মাটিতে করে বার্তা দিয়েছিলো যে, এবার কংগ্রেসের টার্গেট গুজরাট।যদিও কংগ্রেসের এই বার্তা বাস্তবে কতটুকু ফলপ্রসূ হবে তা সময়ই বলবে। তবে গুজরাটে যে আম আদমি পার্টি অন্যতম শক্তিশালী দল হয়ে উঠছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে সেক্ষেত্রে শাসক বিজেপিকে টেক্কা দিতে হলে বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশেষ করে আম আদমি পার্টি এবং কগ্রেসের মধ্যে জোটবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন এবং তাহলে বিজেপিকে কিছুটা বেগ দিতে পারা যাবে।অন্যথায় নয়।
অন্যদিকে আগামী বছরই কেরলে বিধানসভা ভোট। কেরলে আগে চিরাচরিত প্রথা ছিল পাঁচ বছর কংগ্রেস তো পাঁচ বছর সিপিএম। যুযুধান দুই শিবিরে দীর্ঘদিন ধরে এই রেওয়াজ চালু রয়েছে। কিন্তু গত নির্বাচনে এই রীতিও ভেঙে যায়। পরপর ২ বার কেরলে বামেরা ক্ষমতা দখল করে। এবার তাই বামেদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে কংগ্রেস। পরপর চারটি উপনির্বাচনে বামেরা হেরেছে রাজ্যে। সর্বশেষ গত ১৯ জুনের উপনির্বাচনে বামেরা হেরেছে কংগ্রেসের কাছে। সুতরাং কংগ্রেস এবার আশাবাদী আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। সেই নিরিখে কংগ্রেসের এই উপনির্বাচন জেতা জরুরি ছিল।
দক্ষিণের এই রাজ্যে বিজেপি তেমন দাগ কাটতে পারছে না। তবে বিজেপি চাইছে কেরলে তাদের সংগঠনকে মজবুত করতে। কিন্তু এরপরও লোকসভা কিংবা বিধানসভা ভোটে এখন পর্যন্ত কেরলে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য ফলাফল করতে পারেনি বিজেপি।
৪ রাজ্যে পাঁচটি বিধানসভা আসনের পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে যে, কেন্দ্রের শাসক বিজেপিরও লস হয়েছে। গুজরাটে একটি আসন তারা খুইয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের একটি আসনের উপনির্বাচনেও দাঁতই ফোটাতে পারেনি বিজেপি। কেরলে বিজেপির অস্তিত্ব নেই। পাঞ্জাবে বিজেপির অস্তিত্ব নেই। কাজেই বিজেপি এই উপনির্বাচনগুলিতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি।বিরোধীরা একে সাফল্য হিসাবে দেখছে।এখন প্রয়োজন এই সাফল্যকে ধরে রাখা।