ছাত্র ভর্তির অনৈতিক দাবিতে উত্তাল কলেজ,শিক্ষকদের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ, অশ্লীল গালাগাল!!
ধরতি আবা জন ভাগিদারী অভিযান,দারুণভাবে উপকৃত হবে ৩৯২টি রাজস্ব গ্রাম: রতন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ধরতি আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান (ডিএজিজিইউএ) ও ধরতি আবা জন ভাগিদারী অভিযান প্রকল্পে রাজ্যের ৭৭৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটির মধ্যে ৩৯২টি রাজস্ব গ্রাম দারুণভাবে উপকৃত হবে। মঙ্গলবার এই কথা বলেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ। মন্ত্রী শ্রীনাথ উক্ত প্রকল্পের পশ্চিম জেলার প্রভারী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি এই অভিযানের ব্যাপক সাফল্য আনতে সমস্ত জনজাতীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর ভগৎ সিং যুব ছাত্রাবাসে একটি বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন এই প্রকল্পটি শুরু হয়েছে ১৫ জুন থেকে, চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ত্রিপুরা সরকার রাজ্যজুড়ে ১৫ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ধরতি আবা জনভাগীদারি অভিযান শীর্ষক একটি সচেতনতা ও উপকার প্রদান অভিযান পরিচালনা করছে।’
রাজ্যের ৮টি জেলার ৫২টি ব্লকে ৭৭৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটি, যার আওতায় রয়েছে ৩৯২টি রাজস্ব গ্রাম, তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবে। রাজ্যের ২০টি দপ্তর এই অভিযান বাস্তবায়ন করবে। শাসক দল ও সরকার যৌথভাবে এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারের মূল স্লোগান হলো ‘সবার সঙ্গে, সবার উন্নয়ন’।মন্ত্রী আরও বলেন, কিছুদিন আগেই সরকার পিএম জনমন প্রকল্প চালু করেছে।বিজেপি সর্বদা সমাজের শেষ প্রান্তের মানুষদের কথা ভাবে, সরকারও তাই করে। সেইসব পিছিয়ে পড়া জনজাতি মানুষের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই দুটি কর্মসূচি- ধরতি আবা জনভাগীদারি অভিযান এবং ধরতি আবা গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান- চালু করা হয়েছে। রাজ্যের ৮টি জেলায় ৮ জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের জনজাতি ভাইবোনেরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে উন্নয়নের দিক থেকে, কিন্তু রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার তাদের উন্নয়নের জন্য নিরলস পরিশ্রম করছে। কোথাও কোনো ঘাটতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য আমরা শিল্প প্রতিযোগিতা, স্বাস্থ্য শিবির, কুইজ প্রতিযোগিতা, সচেতনতা অভিযানসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি,বলেন মন্ত্রী। পশ্চিম জেলার অধীনে সাতটি স্থানে ২৬ জুন জিরানীয়া আরডি ব্লকে, ৩০ জুন বেলবাড়ি আরডি ব্লকে, ৩০ জুন পুরাতন আগরতলা আরডি ব্লকে, ২৬ জুন লেফুঙ্গা আরডি ব্লকে, ২৬ জুন মান্দাই আরডি ব্লকে, ২৮ জুন হেজামারা ও মোহনপুর আরডি ব্লকে এবং ২৭ জুন ডুকলি আরডি ব্লকে এই অভিযান অনুষ্ঠিত হবে।
এই অভিযানে একটি সার্টিফিকেট, পিএম-কিষান, পিআরটিসি, আয়ুষ্মান ভারত, কিষান ক্রেডিট কার্ড ও মুদ্রা ঋণ, প্যান কার্ড, জীবন জ্যোতি যোজনা, অটল পেনশন যোজনা ও আইসিডিএস প্রকল্প সহ সকল ধরনের সরকারী সুবিধা প্রদান করা হবে’ বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।