August 2, 2025

খরিফ মরশুমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে দপ্তরের ব্যাপক উদ্যোগ!!

 খরিফ মরশুমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে দপ্তরের ব্যাপক উদ্যোগ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ সোমবার জানান, খরিফ মরশুমে রাজ্যজুড়ে ২৫,০০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান এবং ৫০০ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ধানের চাষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
পাশাপাশি, খরিফ ২০২৫-কে লক্ষ্য করে ১,৩০০ হেক্টর জমিতে নতুন ফলের বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। আজ অরুন্ধতীনগর স্টেট এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সেন্টারে কৃষি ও উদ্যানপালন দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত একদিনের পর্যালোচনা সভায় এই ঘোষণা দেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, বিভিন্ন জেলার সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, কৃষি স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ডিরেক্টর, ডেপুটি ডিরেক্টর এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের কৃষি ও উদ্যান পালনের সম্ভাবনা যাচাই করে আত্মনির্ভর ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে উৎপাদন ও ফলন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ইন্টিগ্রেটেড ক্রপ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে ৪৭,৯৪৬ হেক্টর জমিতে উন্নতমানের ধান চাষ হবে। যেখানে কৃষকরা প্রতি হেক্টরে ৫,৬৫০ টাকা করে সহায়তা পাবেন। এছাড়া ২৫,০০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষে প্রতি হেক্টরে ৯,০০০ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। লক্ষ্য হল আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করে প্রতি হেক্টরে অতিরিক্ত দুই মেট্রিক টন ফলন বৃদ্ধি করা।
মন্ত্রী আরও জানান, ৫০০ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ধান, ১,০০০ হেক্টর জমিতে মাষকলাই ও ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন্ড পরীক্ষামূলক চাষ হবে। রুরাল এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অধীনে ২২৫টি পিগারি,পোল্ট্রি ও মাছের পোনার ইউনিট বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে ৫২টি গ্রামীণ হাট উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। যার মধ্যে রয়েছে ৪৫,০০০টি সয়েল হেলথ কার্ড, ১,৫৫০টি পাওয়ার টিলার, ১,০০০টি পাম্পসেট, ৫,০০০টি স্প্রে মেশিন, ৩,০০০টি হুইং মেশিন, ১০ লক্ষ টাকার
কৃষিযন্ত্রপাতি দিয়ে ১০০টি ফার্ম মেশিনারি ব্যাঙ্ক গঠন করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উদ্যানপালন বিভাগ এই অর্থবছরে যে লক্ষ্যগুলি নিয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে ১,৩০০ হেক্টর জমিতে নতুন ফলের বাগান, ৪৫৭ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ, ১৮০ হেক্টর জমিতে মশলা চাষ, ৬০০ হেক্টর পুরোনো বাগানের সংস্কার, ৭,০০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পাম অয়েল চাষ।
মন্ত্রী বলেন, রাজ্যজুড়ে নার্সারিগুলিতে সাত লক্ষেরও বেশি পাম অয়েলের চারা
প্রস্তুত করা হয়েছে। রবি মরশুমে এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষের জন্য ৪,০০০ জন কৃষককে তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। স্ট্যাগার্ড পদ্ধতিতে ২,০০০ হেক্টরে আনারস চাষ হবে।
আরবান হর্টিকালচার প্রকল্পের অংশ হিসাবে, শহরাঞ্চলের ৫,০০০টি পরিবারের> মধ্যে প্রতিটি পরিবারকে চারটি করে নারিকেল গাছের চারা বিতরণ করা হবে।
মন্ত্রী কর্মকর্তাদের ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন, উপযুক্ত সুবিধাভোগীদের
দ্রুত নির্বাচন করে ত্রিশ জুনের মধ্যে খরিফ মরশুমের বীজ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ নিশ্চিত করতে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে এই প্রথম পানের চাষে প্রণোদনা দিতে সাবসিডি দেবে সরকার।
বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানের সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী শ্রীনাথ আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণ করে ‘এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’ গঠনে সকলে মিলিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *