August 2, 2025

মাটির ১৩০০ ফুট গভীরে অভিজাত হোটেল বানিয়ে তাক লাগাল সুইডেন!!

 মাটির ১৩০০ ফুট গভীরে অভিজাত হোটেল বানিয়ে তাক লাগাল সুইডেন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ব্যবসা বাড়াতে কতই না অভিনব পন্থা অবলম্বন করেন উদ্যোগীরা।কিন্তু সুইডেনের ছোট্ট শহর ওয়েলসে এক হোটেল ব্যবসায়ী যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, সেটিকে অভিনব বললেও কম বলা হবে। মাটি থেকে ১৩০০ ফুট গভীরে, নিকষ অন্ধকারের মধ্যে বিলাসবহুল হোটেল বানিয়ে চমকে দিয়েছেন তিনি। হোটেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালবাসেন, সেই সব পর্যটকদের কথা ভেবেই এমন ‘আজব’ হোটেল তারা তৈরি করেছেন। এই হোটেল আদতে আড়াইশো বছরের সুপ্রাচীন খনি। একদা সেই খনি থেকে উত্তোলন করা হতো রূপা-সহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু। তবে বহু বছর ধরে খনিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেই খনির গভীরেই হোটেলটি তৈরি করা হয়েছে। হোটেলটির নাম ‘ডিপ স্লিপ’। পর্যটনের বিখ্যাত ওয়েবসাইট ‘ওনলি টেলস’ লিখেছে, এটি বিশ্বের গভীরতম হোটেল হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওয়েলসের স্নোডোনিয়া পর্বতমালার একটি গুহার ভিতরে নির্মিত হোটেলটি ভূগর্ভের ১,৩০০ ফুট গভীরে অবস্থিত।এই হোটেলে রাত্রিযাপনের কথা ‘ওনলি টেলস’-এ শেয়ার করেছেন ইউক্রেনীয় পর্যটক রদ্রি চেকোভিচ। তিনি বলেছেন, ‘চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ছাদ থেকে টিপটিপ করে জল ঝরেই চলেছে। পায়ের তলায় তিরতির করে বয়ে
চলেছে জলধারা। বাইরে গা-ছমছমে পরিবেশ, কিন্তু ভিতরটা কার্যত পাঁচতারা হোটেল।’ ডুলিতে কিংবা বৈদ্যুতিক লিফ্টে চেপে নয়, হোটেলে পৌঁছনোর জন্য রয়েছে বিশেষ ‘অভিযান’। গুহার পাথরের উপর পা রেখে প্রথমে কিছুটা নীচে নামতে হবে অতিথিদের। তার পর ‘জিপলাইন’ (কোমরে দড়ি বেঁধে)-এ পাতালে হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়। হোটেলের ভিতর রয়েছে চারটি কেবিন। সেই কেবিনগুলিতে এক রাত থাকতে খরচ হয় ৩৭৫ ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার টাকা)। হোটেলের ঘরগুলি পাথর খোদাই করে তৈরি এবং আধুনিক যোগ-সুবিধায় সজ্জিত। অত্যন্ত শান্ত এবং আরামদায়ক এই পরিবেশে থেকে তিথিরা এক ভিন্ন অভিজ্ঞতার স্বাদ পান। হোটেলটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে বিদ্যুৎ এবং ওয়াই-ফাইয়ের মতো সমস্ত আধুনিক যাগ-সুবিধা প্রদান করে। হোটেলে থাকা অতিথিরা ভূগর্ভে বাস করার আনন্দ প্রভোগ করতে পারেন। তবে হোটেলের দরজা অতিথিদের জন্য সব সময় খোলা থাকে না। সপ্তাহে এক দিনই, সপ্তাহান্তে অতিথিদের এখানে আপ্যায়ন করা হয়। শুধু শনিবার রাতে জন্য হোটেলের দরজা খোলা হয়। রবিবার সকালে অতিথিরা হোটেলে চেক-আউট করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *