September 20, 2025

এলডিসি, এমটিএস পদে নিয়োগ বহিষ্কৃত বহিঃরাজ্যের ৭ পরীক্ষার্থী।।

 এলডিসি, এমটিএস পদে নিয়োগ বহিষ্কৃত বহিঃরাজ্যের ৭ পরীক্ষার্থী।।

অনলাইন প্রতিনিধি:-সরকারী চাকরির পরীক্ষা ঘিরে ধুন্দুমার কাণ্ড ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ ছিল ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু প্রতিক্ষিত এলডিসি এবং এমটিএস পদের লিখিত পরীক্ষা। তবে এ দিনের পরীক্ষায় অভিনব কায়দায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়লেন সাত চাকরি প্রার্থী। এই বহিষ্কৃত প্রার্থীদের মধ্যে বিহারের ১ জন, রাজস্থানের ২ জন, হরিয়ানার ২ জন এবং পশ্চিম বাংলার ২ জন ছিলেন। তাদের সকলকে চাকরির পরীক্ষায় নকলের দায়ে বহিষ্কৃত করার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের নিকট তুলে দিয়েছে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির পরীক্ষায় এই প্রথম বহিঃরাজ্যের এতজন চাকরি প্রার্থী একসাথে বহিষ্কৃত হলেন।শুধু তাই নয়, এই সাত চাকরি প্রার্থীদের বহিষ্কৃত করতে গিয়ে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে হুমকির সামনেও পড়তে হল। তবে এরপরও অভিযুক্ত ৭ চাকরি প্রার্থীর শেষ রক্ষা হলো না। রাতের সংবাদ লেখা পর্যন্ত খবর, তাদের নাম ঠিকানা সহ যাবতীয় বিষয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর আজ এলডিসি ১৭ টি পদে, এমটিএস ১৬ টি পদের জন্যে লিখিত পরীক্ষা ছিল। এর মধ্যে এলডিসি পদের জন্যে পরীক্ষায় বসেন ১০৩৪ জন। তবে আবেদনকারী চাকরি প্রার্থী ছিলেন ১২৬৮ জন। এমটিএস পদের লিখিত পরীক্ষায় বসেন ২১১৯ জন। আবেদনকারী প্রার্থী ছিলেন ২৬৪৭ জন। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। তবে এলডিসি পদের লিখিত পরীক্ষায় বিহারের ১ জন এবং রাজস্থানের ১ জন চাকরি প্রার্থীকে নকলের দায়ে বহিষ্কৃত করা হয়। বহিষ্কৃত এই দুই প্রার্থী বিহার এবং রাজস্থানের অন্য দুই চাকরি প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা দিতে রাজ্যে এসেছিলেন। এমনকী এ দিন এলডিসি পদের চাকরির পরীক্ষায় বিহার এবং রাজস্থানের মূল পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতিতে ছদ্মবেশে এরা দুই জন লিখিত পরীক্ষায় শামিল হন। তবে শেষ রক্ষা হল না, ছদ্মবেশধারী দুই অবৈধ পরীক্ষার্থী ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়লেন।
যথারীতি তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল।
একইভাবে,এমটিএস পদের লিখিত পরীক্ষায়ও ৫ জনকে বহিষ্কৃত করা হলো। এর মধ্যে হরিয়ানারর ২ জন, রাজস্থানের ১ জন, পশ্চিম বাংলায় ২ জন। লিখিত পরীক্ষায় হরিয়ানার দুইজন মূল পরিক্ষার্থী এবং রাজস্থানের ১ জন মূল পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের পরিবর্তে হরিয়ানার ২ জন এবং রাজস্থানের ১ জন ছদ্মবেশী-পরীক্ষার্থী শামিল হন। তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এই তিন পরীক্ষার্থী ধরা পড়ে যান। আর পশ্চিম বাংলা দুই মূল পরীক্ষার্থী পরিক্ষা হলে উপস্থিত থাকলেও তাদের কাছে ছিল মোবাইল। এরা দুইজনই পায়ে মোবাইল বেঁধে পরীক্ষায় বসেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। উল্টো বহিষ্কৃত হলেন। এই পাঁচজনকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও ছদ্মবেশী পাঁচ পরীক্ষার্থী ধরা পড়ার পর পরিক্ষা হলের শিক্ষক-কর্মচারীদের হুমকি প্রদানে ব্যস্ত হয়ে যান। এমনকী পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হন। পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ ছদ্মবেশি পরীক্ষার্থী অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষা দিতে রাজ্যে এসেছে। এমনকী যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়েও যান। এরপর ধরা ও পড়লেন। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, যেসব পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে তারা রাজ্যে এসে পরীক্ষায় শামিল হন। তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *