August 2, 2025

১৩ বছরেও জিবির ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টের মর্যাদা পায়নি!!

 ১৩ বছরেও জিবির ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টের মর্যাদা পায়নি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবির জরুরি বিভাগ তথা ইমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসা পরিকাঠামো সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বহু রোগী জরুরি চিকিৎসা বিভাগে আসছেন। বহু গুরুতর অসুস্থ ও সংকটাপন্ন রোগীও আসছেন। কিন্তু তারপরও রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা বিভাগ সবসময়ই চিকিৎসক সংকটে ধুঁকছে বলে হাসপাতাল সূত্রের সংবাদ। আগে জিবির জরুরি চিকিৎসা বিভাগকে ক্যাজুয়েলিটি ব্লক বলা হতো। তাই ক্যাজুয়েলিটি ব্লকের মতোই চিকিৎসা পরিকাঠামো ছিল। কিন্তু জিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হওয়ায় ২০১১ সালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স চালু হয়। সেই সময় থেকে জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়েলিটি ব্লকের স্বীকৃতি উঠে গিয়ে জরুরি মেডিসিন পার্টমেন্ট অর্থাৎ ইমার্জেন্সি মেডিসিন হিসাবে স্বীকৃতি বা উন্নতি হয়। বিস্ময় ও পরিতাপের ব্যাপার হলো, ২০১১ সালে ইমার্জেন্সি মেডিসিনের মর্যাদা হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্য দপ্তরের খাতায়পত্রে পেলেও বাস্তবে চিকিৎসা পরিকাঠামোর কোনও উন্নতি হয়নি আগের মতোই রয়ে গেছে। ইমার্জেন্সি মেডিসিন হিসাবে স্বীকৃতি বা মর্যাদা পাওয়ার ১৩ বছর পরও ইমার্জেন্সি মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট তৈরি করতে পারেনি স্বাস্থ্য দপ্তর। যা শুধু বিস্ময়জনকই নয়, স্বাস্থ্য দপ্তরের চরম ব্যর্থতার দিকটিই প্রকাশ পাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তিন বছর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ইমার্জেন্সি মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। তৎকালীন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ
ড: প্রফেসর মঞ্জুশ্রী রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ডিপার্টমেন্ট তৈরি করার জন্য সব ব্যবস্থা করার জন্য। বহি:রাজ্যের বাসিন্দা তিনি চলে যাওয়ার পর কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ডা. প্রফেসর অনুপ কুমার সাহার উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিও এ বিষয়ে নির্বিকার বলেও অভিযোগ। ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টের জন্য পৃথকভাবে চিকিৎসক রাখতে হয়। এখন যেভাবে জোড়াতালি দিয়ে হাসপাতালের এই বিভাগ থেকে সেই বিভাগ থেকে চিকিৎসক উঠিয়ে এনে ইমার্জেন্সিতে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বাস্তব ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট করা হলে হাসপাতালের কোনও বিভাগ থেকে এভাবে চিকিৎসক উঠিয়ে আনতে হবে না।
শুধু ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টের জন্যই পৃথকভাবে চিকিৎসক থাকবে। সেসব চিকিৎসকরা ইমার্জেন্সি ডিপার্টেমেন্টের শুধু রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন। এখন যেভাবে ইমার্জেন্সিতে উপযুক্ত চিকিৎসকের সংকটও চলছে ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট সত্যিকারে চালু হলে চিকিৎসকের সেই সংকট ও অভাব থাকবে না।
রোগীরাও আরও ভালো ও গুণগত মানের চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। ১৪ ঘন্টার জন্য তিন শিফটে তিনজন মেডিসিন এক্সপার্ট চিকিৎসক ইমার্জেন্সিতে থাকতে হবে। এখন নিয়ম রক্ষার্তে এখানে শুধু একজন মেডিসিন এক্সপার্ট চিকিৎসক রয়েছেন। একজন মেডিসিন এক্সপার্ট কি করে ২৪ ঘন্টা বা তিন শিফটে রোগী দেখছেন তা বলতে পারবেন স্বাস্থ্য তে দপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইমার্জেন্সিতে একসঙ্গে অন্তত চারজন চিকিৎসক বসে রোগী দেখার নিয়ম থাকলেও চিকিৎসক সংকটে তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ইমার্জেন্সির জন্য তিন শিফটে শুধু ন্যূনতম মেডিকেল অফিসার এমও ৯ জন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৪-৫ জন। ইমার্জেন্সিতে নেই ফ্যাকাল্টিও। অন্যান্য স্তরের চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও তাও নেই বলে হাসপাতালের চিকিৎসারই বলছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *