August 2, 2025

প্যারাগ্লাইডিং-এর প্রবেশপথে চাঁদা কমছে পর্যটক, ভীতির সঞ্চার!!

 প্যারাগ্লাইডিং-এর প্রবেশপথে চাঁদা কমছে পর্যটক, ভীতির সঞ্চার!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-জম্পুই পাহাড়ে প্যারাগ্লাইডিং চড়তে যাওয়ার পথে টেক অফ পয়েন্টের সমস্যার সমাধান হলো না। প্যারাগ্লাইডিং টেক অফ পয়েন্টে যেতে পর্যটকদের স্থানীয় ফি দিতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও স্থানীয় যুবকরা রসিদের মাধ্যমে টাকা নিয়েছে। ইডেন টুরিষ্ট লজের ম্যানেজার নিখিল চাকমাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান টেক অফ পয়েন্টে যেতে হলে বেসরকারী জায়গা দিয়ে যেতে হয় তাই স্থানীয় যুবকদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। শ্রী চাকমা জানান পর্যটন দপ্তরের নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী জনপ্রতি প্যারাগ্লাইডিংয়ে ভ্রমণের সরকারী টিকিটের মূল্য পনেরোশ টাকা। তিনশ টাকা দিতে হচ্ছে প্যারাগ্লাইডিং মাস্টারকে এক্ষণে টেক অফ পয়েন্টে প্যারাগ্লাইডিং যাত্রী বা ভ্রমণকারী প্রতি স্থানীয় চাঁদা একশ টাকা থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও প্যারাগ্লাইডিং চড়তে যাওয়ার পথে টেক অফ পয়েন্টে স্থানীয় যুবকদের চাঁদা দিতে হয়েছে। জম্পুই পাহাড়ের প্যারাগ্লাইডিং টেক অফ পয়েন্টের পথে বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে লাঠি হাতে যুবকরা বৃহস্পতিবারও পাহাড়ায় ছিল। অর্থাৎ চাঁদা বা ফি ছাড়া কেউই প্যারাগ্লাইডিং টেক অফ পয়েন্টে যেতে পারবে না। ইডেন টুরিস্ট লজের ম্যানেজার নিখিল চাকমা জানান আগামী ৪ঠা জানুয়ারী অর্থাৎ শনিবার রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর জম্পুই পাহাড়ে এসে সেখানের ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের সাথে এই সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা সভা করবেন। উল্লেখ্য, স্থানীয় যুবকদের প্যারাগ্লাইডিং টেক অফ পয়েন্টে যাওয়ার পথে লাঠিসোটা নিয়ে পাহাড়া দেওয়ার ফলে পর্যটকদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। এর ফলে বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে।
উল্লেখ্য ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন জম্পুই প্যারাগ্লাইডিংয়ে ভ্রমণ করতে প্রচুর সংখ্যক পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। জম্পুই পাহাড়ে পর্যটকদের মনোরঞ্জন এবং এই পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে প্যারাসুটের মাধ্যমে ভ্রমণ জম্পুই পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব বেড়েছে। প্যারাগ্লাইডিং সার্ভিস চালু হওয়ার ফলে জম্পুই পাহাড়ে প্রতিদিন উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার মাত্র চারজন প্যারাগ লাইডিং পয়েন্টে এসেছে। অধিকাংশ পর্যটক ভয়ে জম্পুই যাচ্ছে না। এতে জম্পুই পাহাড়ে পর্যটন শিল্পে ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পর্যটকদের আশা ৪ঠা জানুয়ারী আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *