August 2, 2025

ভারত ছেড়ে আরবে যেতে পারেন হাসিনা তুঙ্গে জল্পনা!!

 ভারত ছেড়ে আরবে যেতে পারেন হাসিনা তুঙ্গে জল্পনা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- শেখ হাসিনার কি ঠিকানা বদল হতে চলেছে? জল্পনা তুঙ্গে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এবং ভারত, দুই দেশেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। জল্পনার প্রতিপাদ্য হলো খুব শীঘ্রই শেখ হাসিনা আরব দুনিয়ার কোনও দেশে চলে যেতে পারেন। গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে, ভারত সরকারই নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এরকম কোনও ইঙ্গিত দিয়েছে। বলা হচ্ছে ভারতে শেখ হাসিনা ঠিক কোন ভিসা স্ট্যাটাসে রয়েছেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই তথ্য জানতে চেয়েছিল ভারতের কাছে। আর ভারত জবাবে বলেছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই হাসিনা ভারত ছেড়ে চলে যাবেন অন্য দেশে। তবে পশ্চিমি কোনও দেশে নয়। তিনি যেতে পারেন আপাতত কোনও আরব দুনিয়ার রাষ্ট্রে। যদিও ভারত সরকারীভাবে এরকম বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। বিদেশমন্ত্রকের সূত্রেও বলা হচ্ছে যে, এরকম কোনও স্ট্যাটাসের কথা জানা নেই। যদিও সরকারী সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, আমেরিকা অথবা কোনও দেশই কূটনৈতিক প্রোটোকলে ভারতকে প্রশ্ন করতে পারে না যে তাদের দেশে থাকা কোনও বিদেশি ঠিক কোন স্ট্যাটাসে রয়েছে। ভারতও আমেরিকা অথবা কোনও দেশকেই সরকারীভাবে প্রশ্ন করতে পারে না যে, তাদের দেশে আশ্রিত অথবা সাময়িক ভিসায় থাকা কোনও অনাগরিক ঠিক কোন স্ট্যাটাসে সেই দেশে আছে। সুতরাং এই জল্পনার যে মূল সূত্র, সেটি সঠিক নয়। প্রোটোকলগতভাবে ভুল তথ্য। যদিও সরকারীভাবে এই প্রোটোকল সঠিক হলেও প্রশ্ন হলো, সত্যিই কি আগামী কিছুদিনের মধ্যে চলে যাবেন হাসিনা? পাঁচ আগষ্ট হাসিনা ভারতে আসেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া ভিসা চুক্তি অনুযায়ী ভিসা উত্তীর্ণ বসবাস সময়সীমা ৪৫ দিন পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে হাসিনার। কিন্তু তারপর কোনওভাবেই যে ভারত তাকে থাকতে দিতে পারবে না, এমন নয়। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠবে তসলিমা নাসরিন কীভাবে আছেন? প্রতিটি দেশে সাময়িক ভিসার একটি প্রটোকল থাকে। সেই প্রোটোকল ওই দেশের বিদেশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যৌথ একটি ফরমুলায় স্থির হয় এবং পরিবর্তন হয়। সুতরাং ভারত চাইলে সাময়িক ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবে। সম্প্রতি মহম্মদ ইউনুস গিয়েছিলেন আমেরিকায় রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে। তিনি দেখা করেন জো বাইডেনের সঙ্গে। ভারত নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে ওই বৈঠকের পরই জানা গিয়েছিল। সেই বৈঠকে নিশ্চিতভাবেই ইউনুস বাইডেনকে ভারতে হাসিনার অবস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর সেই আলোচনারই কি জের ভারতকে আমারিকা ট্রাক টু ডিপ্লোমেসিতে জানতে চেয়েছে হাসিনার স্ট্যাটাস?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *