August 2, 2025

স্বাধীনতার ৫৪ বছরে পা রাখলো সার্বভৌম বাংলাদেশ!!

 স্বাধীনতার ৫৪ বছরে পা রাখলো সার্বভৌম বাংলাদেশ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছরের পথচলা শেষে মঙ্গলবার ৫৪ বছরে পা রাখলো। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার প্রকাশের মধ্য দিয়ে পুরো জাতি পালন করেছে স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসে ঢাকার অদূরে সাভারে মুক্তিযুদ্ধে জীবন দেওয়া জানা-অজানা শহিদদের স্মরণে নির্মিত জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানাতে বয়স-পেশা নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিল।হাতে ফুল কন্ঠে স্বাধীনতার জয়গান গেয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা স্লোগানে মুখর মানুষ আকাঙক্ষা প্রকাশ করে বলেছেন, স্বাধীনতার স্বাদ সবার দ্বারে পৌঁছাতে আমরা চাই শোষণ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।তারপর মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়ে এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি অর্জন করে চূড়ান্ত বিজয়।এবার জাতি পালন করছে ৫৪ তম স্বাধীনতা দিবস।মঙ্গলবার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এবার স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ঢাকা সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল -ওয়াংচুক।এরপর হাতে লাল সবুজের পতাকা আর রঙ বেরঙের ফুল, হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে সকাল থেকে হাজারো মানুষের ঢল নামে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।দেশের সূর্য সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ঢেকে যায় স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদি।স্মৃতিসৌধ ঢল নেমেছিল সব বয়সি মানুষের। দিবসটি উপলক্ষে সকল সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারী ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়।ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদকদল বাদ্য বাজিয়ে দিবসটি পালন করে। স্বাধীনতা দিবসে ছিল সরকারী ছুটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *