September 17, 2025

চুলের দৈর্ঘ্য ৭.৯ ফুট, স্মিতার নাম উঠল গিনেস বুকে!!

 চুলের দৈর্ঘ্য ৭.৯ ফুট, স্মিতার নাম উঠল গিনেস বুকে!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-বয়স যখন তার ১৪, সেই থেকে আর চুলে কাঁচি লাগাননি তিনি।এখন বয়স ৪৬ বছর। এখন তার চুলের দৈর্ঘ্য,৭ ফুট ৯ ইঞ্চি।দীর্ঘতম চুলের অধিকারিণী হিসাবে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন উত্তর প্রদেশের স্মিতা শ্রীবাস্তব। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্মিতার এই কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে সম্প্রতি।ছবিতে গিনেস কর্তৃপক্ষের শংসাপত্র হাতে তাকে দেখা যাচ্ছে।গিনেস কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেছেন, ১৪ বছর বয়সের পর থেকে তিনি আর কোনও দিন চুল কাটাননি।আশির দশকে এক দীর্ঘকেশী বলিউড অভিনেত্রীকে দেখে চুল বড় করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তিনি।স্মিতা বলেন,‘ভারতীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী,দেবীরা ঐতিহ্যগতভাবে দীর্ঘকেশী হয়ে থাকে।আমাদের সমাজে মেয়েদের চুল কাটাকে অলক্ষুণে ভাবা হয়।সুতরাং ভারতে মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবে চুল লম্বা করে।আমি বিশ্বাস করি, লম্বা চুল নারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।”
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী,স্মিতা সাধারণত সপ্তাহে দুই দিন চুল ভালো করে ধুয়ে থাকেন।চুল ধোওয়া, শুকনো, আলাদা করাসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে তার তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।তিনি ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ধরে চুলে শ্যাম্পু করেন।তারপর হাত দিয়ে চুলকে আলাদা করার আগে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল শুকিয়ে নেন।এতে তার আরও দুই ঘণ্টার মতো চলে যায়।স্মিতা বলেন, “আমার বিছানায় দাঁড়িয়ে যখন হাত দিয়ে চুলগুলো আলাদা করি, তখন নিচে চাদরজাতীয় কিছু বিছিয়ে দিই।”যখন স্মিতার চুল একেবারে আলাদা হয়ে যায় এবং পুরোপুরি শুকিয়ে যায়, তখন বেণী করা বা চুল বাঁধার আগে তিনি চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নেন।স্মিতা জানান, যখন তিনি খোলাচুলে বাইরে যান, তখন কৌতূহলী লোকজন অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।তার মনে হয়, লোকজন যেন তার চুলের দৈর্ঘ্য দেখে বিশ্বাসই করতে পারছে না।তিনি কীভাবে এত দিন এই চুলের যত্ন নিচ্ছেন,সেটাও তাদের অবাক করে।স্মিতা বলেন, “অনেক সময় মানুষ আমার কাছে আসেন, চুল স্পর্শ করেন, আমার সঙ্গে ছবি তোলেন।তারা আমার চুলের প্রশংসা করে অনেক সময় জানতে চান,আমি চুলে কী ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করি।’ স্মিতার বক্তব্য, ‘আমার লম্বা চুলের অনুপ্রেরণা যদি হন সেই অভিনেত্রী, তবে দ্বিতীয় অনুপ্রেরণা আমার মা।জিনগত ভাবে মায়ের লম্বা চুলের ধাতটাই আমি পেয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *