August 2, 2025

পেট তো নয় যেন আস্ত আলমারি,বেরিয়ে এলো সেফটিপিন-নাটবল্টু-রাখি।

 পেট তো নয় যেন আস্ত আলমারি,বেরিয়ে এলো সেফটিপিন-নাটবল্টু-রাখি।

বেশ কয়েক বছর ধরেই পেটে ব্যথা।পেটে ব্যথার কারণ খুঁজতে অস্ত্রোপচার করতেই চক্ষু চড়কগাছ ডাক্তারদের। পেটের ভিতর যেন আস্ত আলমারিটাই! কী নেই পেটের ভিতর?বলা ভালো, পেটের ভিতর থেকে কী-ই না বেরল?
ইয়ারফোন, ওয়াশার, নাট-বল্টু, তার, রাখি, লকেট, বোতাম, কাগজ, মাথার চুলের ক্লিপ, জিপের ট্যাগ, মার্বেলের টুকরো, সেফটি পিন সবই বেরল পেট থেকে।৩ ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার।

একে একে পেটের ভিতর থেকে সব বের করে আনেন চিকিৎসক। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের মোগায়।দু’দিনেরও বেশি সময় ধরে বমি বমি ভাব, প্রবল জ্বর ও পেটে ব্যথা নিয়ে মোগার মেডিসিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েক দিন আগে তিনি পেটে ব্যথা অনুভব করেন।ঘুমোতে পারছেন না বলে জানান । এর আগে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলেও কেউ-ই তার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে পারেননি।কিছুতেই কিছু না হওয়ায়, পেটে ব্যথা না কমায় মোগার মেডিসিটি চিকিৎসকরা তার পেটের স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নেন।তাতেই বোঝা যায় তার পেটে ব্যথার আসল কারণ।সেই স্ক্যান রিপোর্ট হাতে আসতেই চিকিৎসকরা দেখেন যে, ওই ব্যক্তির পেটের ভিতরে বেশ কিছু ধাতব বস্তু জমা রয়েছে। তারপরই প্রায় ৩ ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচারে চিকিৎসকরা তার শরীর থেকে সফলভাবে সব জিনিসপত্র বের করতে সক্ষম হন। পেট থেকে বের করা হয় প্রায় একশো’টি পণ্য। যার মধ্যে রয়েছে ইয়ারফোন, ওয়াশার, নাট-বল্টু, তার, রাখি, লকেট, বোতাম, হেয়ারক্লিপ, একটি জিপার ট্যাগ, একটি মার্বেল ও একটি সেফটি পিন।হাসপাতালের অধিকর্তা ডা. আজমীর কালরা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা তার জীবনে এই প্রথম। দু’বছর ধরে ওই ব্যক্তি পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। এখন অস্ত্রোপচারে তার শরীর থেকে সমস্ত জিনিস বের করে নেওয়া হলেও,ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়।দীর্ঘদিন ধরে ওই জিনিসগুলো তার পেটের ভিতরে ছিল। ফলে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।এই ঘটনায় হতবাক তার বাড়ির লোকেরাও। ওই ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, তারাও এই ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন। কবে এবং কেন তিনি ওই সব জিনিস খেয়েছিলেন, তা তারা জানেন না। কীভাবে তিনি এই জিনিসগুলি খেয়েছিলেন সে সম্পর্কেও তাদের কোনও ধারনা নেই। তবে তিনি মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা-মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *