August 2, 2025

মর্মস্পর্শী ভিডিও দেখে বালিকাকে ঘোড়া দিলেন দুবাইয়ের শাসক।

 মর্মস্পর্শী ভিডিও দেখে বালিকাকে ঘোড়া দিলেন দুবাইয়ের শাসক।

হৃদয়স্পর্শী একটি ভিডিও দেখে মন কেঁদে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও – প্রধানমন্ত্রী তথা দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের। তিনি ৮ বছরের ইরাকি কন্যা লানিয়া ফখেরকে তার দুঃখমোচন করতে একটি ঘোড়া উপহার দিয়েছেন।মাত্র আট বছরের মেয়ে লানিয়া। যে বয়সে তার পুতুল নিয়ে খেলে সময় কাটানোর কথা, সেই বয়স থেকেই ঘোড়ার প্রতি অন্য রকম ভালবাসা জন্মায় লানিয়ার।একরত্তি বয়সেই এই মেয়ে ঘোড়ার পিঠে বসে ছুটতে পারে।কিন্তু সম্প্রতি তার সেই প্রিয় পোষ্য তথা ‘বন্ধু’ ঘোড়াটি মারা যায়। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে মৃত ঘোড়াটির গলা জড়িয়ে ধরে ছোট্ট লানিয়াকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় (ছবি)।সেখানে আরও দেখা যায়, এক পশু চিকিৎসক লানিয়াকে বলছেন, সে যেন মৃত ঘোড়াটির কাছে না যায়, এর ফলে তার শরীরেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।সেই কথায় আরও কাঁদতে থাকে লানিয়া। পোষ্যের প্রতি ইরাকি বালিকার এমন দুর্নিবার ভালবাসা দেখে অজস্র নেটিজেন তাকে সমবেদনা জানান।ঘোড়ার প্রতি লানিয়ার এ ভালবাসার বার্তাই পৌঁছে যায় দুবাইয়ের শাসকের কাছে।মৃত ঘোড়ার গলা জড়িয়ে বিলাপরত লানিয়ার হৃদয়স্পর্শী ভিডিওটি দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন মোহাম্মদ বিন রশিদ। তিনি লানিয়াকে একটি ঘোড়া উপহার দিয়েছেন। একই সঙ্গে তার জন্য ইরাকে একটি ঘোড়সওয়ার প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কথাও ঘোষণা করেছেন।এ খবর জানতে পেরে লানিয়ার বাবা ফাখির রসুল মোহাম্মদ বলেন, ‘এখন লানিয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।পাঁচ বছর বয়স থেকেই এটা ওর স্বপ্ন ছিল।লানিয়ার বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন তার বাবা তাকে ‘জেসনো’ নামের একটি মাদি ঘোড়া উপহার দেন। জেসনো শুধু পোষ্যই ছিল না, ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি— লানিয়ার পরম বন্ধু।লানিয়াকে ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের সবচেয়ে কম বয়সি ঘোড়সওয়ারি মনে করা হয়।সম্প্রতি লানিয়ার ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
চিকিৎসার পাশাপাশি সে নিজেই পোষ্যটির সেবাযত্ন করছিল। চিকিৎসা আর লানিয়ার সেবাযত্নেও জেসনোকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। জেসনোর মৃত্যুর পর গলা জড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায় লানিয়াকে। শুধু তাই নয়, ঘোড়াটিকে সমাহিত করার পর প্রায়ই আপেল আর চিনি নিয়ে কবরের কাছে দাঁড়িয়ে থাকত সে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *