August 2, 2025

স্বল্প দিবানিদ্রা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী, সামনে এল গবেষণা।

 স্বল্প দিবানিদ্রা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী, সামনে এল গবেষণা।

দিনের বেলায় অনেক মানুষই অল্প কিছুক্ষণ না ঘুমিয়ে থাকতে পারেন না। অনেকে বলেন, এমন দিবানিদ্রা শরীরের পক্ষে নাকি খারাপ, তাতে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। কিন্তু ইউনিভার্টিসিটি অফ লন্ডন-র গবেষণায় ধরা পড়ল ঠিক বিপরীত। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, প্রতিদিন অল্প দিবানিদ্রার জন্য কিছুটা সময় বের করে নিতে পারলে তা মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। এটি জীবনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় ধরে মস্তিষ্কের আকার বড় রাখতে সহায়তা করে।গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা দিনে কর্মব্যস্ততার মাঝে অল্প সময় ঘুমিয়ে নেন, তাদের মস্তিষ্কের আকার সাধারণের তুলনায় গড়ে ১৫ ঘন সেন্টিমিটার বড় থাকে। এটি একজন ব্যক্তির জন্য তিন থেকে অন্তত ছয় বছর বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। প্রশ্ন হল, দিনে কতটা সময় ঘুমানো ভাল? গবেষকদের মতে, দিবানিদ্রা আধাঘণ্টার চেয়ে কম হওয়াই উত্তম। এ সম্পর্কে গবেষণায় যুক্ত ডাক্তার ভিক্টোরিয়া গারফিল্ড বলেন, ‘আমরা পরামর্শ দিচ্ছি, অল্প দিবানিদ্রার মাধ্যমে সকলেই কিছু না কিছু উপকার পেতে পারেন। এটি একজন ব্যক্তির জন্য বেশ অভূতপূর্ব ও রোমাঞ্চকর ব্যাপার।’তিনি জানান, শৈশবে শিশুদের অল্প নিদ্রার প্রবণতা থাকে এবং এটি তার বিকাশে সহায়তা করে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বল্প নিদ্রার প্রবণতা হ্রাস পায়। আবার জীবনের শেষ ইনিংসে অর্থাৎ অবসরের পর ফের অল্প নিদ্রার অভ্যাস তৈরি হয়। এই গবেষণায় ধরা পড়েছে,৬৫ বছর বয়সের বেশি প্রায় ২৭ ভাগ ব্যক্তিরই অল্প দিবানিদ্রার অভ্যাস রয়েছে। গবেষণাপত্রে চিকিৎসক গারফিল্ড বলেছেন, ওজন কমানো কিংবা প্রতিদিন ব্যায়াম করা অনেকের কাছেই বেশ কঠিন।সেক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে অল্প নিদ্রার অভ্যাসটি সহজ। গবেষকরা বলেছেন, বয়স বাড়লে সকলের মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে আসে। সেক্ষেত্রে অল্প নিদ্রা আলঝেইমার্সের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে পারে কি না তা নিয়ে অধিকতর গবেষণার প্রয়োজন আছে। তবে স্মৃতিভ্রংশ প্রতিরোধে মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য খুব জরুরি। সেক্ষেত্রে বিঘ্নিত ঘুম খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।গবেষকদের মতে, পরিমিত পরিমাণ ঘুম না হলে তা মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করে এবং এর কোষগুলির মধ্যে থাকা সংযোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ সম্পর্কে গবেষক ভ্যালেনটিনা পাজ বলেন, ‘আমরা দিনের বেলায় দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমানো নিয়ে সরাসরি কোনও গবেষণা করিনি। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনার মাধ্যমে আমাদের পরামর্শ হল, অল্প দিবানিদ্রার ক্ষেত্রে আধা ঘণ্টার মতো সময় ঘুমানোই শ্রেয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *