August 4, 2025

পেঁচা এখন কৃষক বন্ধু, সাইপ্রাস পাচ্ছে সুফল।

 পেঁচা এখন কৃষক বন্ধু, সাইপ্রাস পাচ্ছে সুফল।

চাষের জমিতে ইঁদুরের অত্যাচার স্বাভাবিক। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বিষ প্রয়োগসহ কত কী করেন কৃষকরা।তবে ভিন্নতা দেখালো সাইপ্রাস। সেখানে চাষের জমিতে ইঁদুরের অত্যাচার থেকে চাষিদের রক্ষা করছে বিরল প্রজাতির পেঁচা। সেগুলো হয়ে উঠেছে ‘কৃষকবন্ধু’।রিপাবলিক অব সাইপ্রাস ও রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাসের মধ্যবর্তী দিগন্ত বিস্তৃত কৃষিজমির অনেকটাই নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে পড়ে। সীমান্ত এলাকা বলেই ওই জমির ফসলের দেখভালে অসুবিধায় পড়েন চাষিরা।এদিকে ইঁদুরের উৎপাত দিনে দিনে বেড়েই চলছিল।বিষ প্রয়োগ ছাড়া সমস্যার অন্য কোনও সমাধানও জানা ছিল না কৃষকদের।এ অবস্থায় মুশকিল আসান হয়ে এগিয়ে আসে ‘বার্ডলাইফ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।তারাই চাষিদের জানায়, সমাধান
হতে পারে ইঁদুরের যম পেঁচা। প্রস্তাব পছন্দ হতেই কাজ শুরু হয়ে যায়। দুই দেশের সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় বিভিন্ন গাছের ডালে পেঁচাদের থাকার ব্যবস্থা হয়। বসানো হয় পঞ্চাশটি কাঠের বাক্স। পাশাপাশি ‘বার্ড লাইফ’ এর সদস্যরা কৃষকদের জানিয়ে দেন, আপাতত কোনওভাবেই যেন জমিতে ইঁদুর মারার বিষ না দেওয়া হয়। এতেই কাজ হয়।
পেঁচারা মানুষের তৈরি বাসার সুযোগ নেয়। তাদের খাদ্য হয় চাষের জমিতে উৎপাত করা ইঁদুর। পরিসংখ্যান বলছে, বছরে কম করে হলেও পাঁচ হাজার ইঁদুর মারে চাষের জমির আশপাশে বাসা বাঁধা পেঁচারা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘বার্ডলাইফ’ সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপে কমে আসা ‘বার্ন’ প্রজাতির পেঁচা কৃষকবন্ধু হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ এক কাজে তিন কাজ ৷একদিকে যেমন ইঁদুরের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাচ্ছেন চাষিরা, তেমনই বিষ প্রয়োগ করতে হচ্ছে না জমিতে ৷ পাশাপাশি বিরল প্রজাতির পেঁচাগুলো পুনর্বাসনের সুযোগ পেয়ে বংশবিস্তার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *