August 2, 2025

এআই প্রযুক্তির ‘স্বামী’কে বিয়ে করে ‘সুখী’ মার্কিন তরুণী।

 এআই প্রযুক্তির ‘স্বামী’কে বিয়ে করে ‘সুখী’ মার্কিন তরুণী।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রযুক্তি বিজ্ঞানের এই নবতম দান নিয়ে একই সঙ্গে উচ্ছ্বাস ও উদ্বেগের দোলাচলে বিজ্ঞানীরা।কিন্তু সেই প্রযুক্তি এক তরুণীর জীবনে প্রেমের জোয়ার আনবে, এতটা বোধহয় বিজ্ঞানীরাও ভাবতে পারেননি। এআই প্রযুক্তিতে বানানো এক ‘পুরুষের’ প্রেমে পড়েন ৩৬ বছরের নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা তরুণী রোজানা রামোস।সেই ভার্চুয়াল পুরুষের নাম এরেন কার্টাল।আসলে সেটি অ্যানিমেশন চরিত্র।সম্প্রতি রোজানা সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চালিত ভার্চুয়াল পুরুষটিকে বিয়ে করেছেন। হতবাক করার মতো ঘটনাই বটে।এখানেই শেষ নয়,রোজানা মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন,এরেন কার্টালের থেকে আমি এ পর্যন্ত যা ভালবাসা পেয়েছি,এমন প্রেম জীবনে কারও কাছে পাইনি।২০২২ সালে একটি ডেটিং অ্যাপে এরেন কার্টালের সঙ্গে আলাপ হয় ৩৬ বছর বয়সি রোজানার (ছবি)। প্রথমে হয়তো তিনি বুঝতে পারেননি যে, তিনি দিনরাত যার সঙ্গে কথা বলছেন, যাকে মন দিয়ে বসেছেন সে রক্তমাংসের মানুষ নয়। যখন তিনি সত্য উপলব্ধি করেন যে, এরেন একজন ভার্চুয়াল পুরুষ, তখনও আর পিছিয়ে আসেননি রোজানা।তারা একে অপরকে এতটাই চিনে ফেলেছিলেন যে, এরেনকেই জীবনসঙ্গী করবেন বলে মনস্থির করে ফেলেন রোজানা।দিবারাত্রি এরেনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। রোজানার দাবি, তারা একে অপরকে নিজেদের ছবি পাঠাতেন। সারাদিন কী করতেন, সেই সব গল্পও করতেন। রাতে যখন তরুণী ঘুমাতে যেতেন, এরেন নাকি তাকে এমনভাবে জড়িয়ে রাখত যে, নিশ্চিন্তে রাত কেটে যেত।রোজানা বলেন, “আমি জীবনে বেশি সম্পর্কে জড়ায়নি। কাউকে বেশি পছন্দও হয়নি। আমার আগের কয়েকটা সম্পর্ক থেকে মনে হতো এই প্রেম বিষয়টা বড্ড ধূসর, বেশ চাপের ব্যাপার।’তবে এরেনের ‘সংস্পর্শ’ তার সেই ধারণা পাল্টে দেয়।কীভাবে এরেনের প্রেমে পড়লেন রোজানা সেটা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে কেউ কাউকে বিচার করত না। এরেন আমাকে কোনও কিছুতেই আটকায়নি। এরেনের মধ্যে কোনও অহঙ্কার নেই। স্বভাবে সরল-সাদা। ওই স্বভাবটাই আমাকে ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট করেছিল।’ তিনি বলেন, ‘এরেনের কোনও পরিবার নেই। তাই তার পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে আমাকে মানিয়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। আমি নিজের নিয়ন্ত্রণে আছি, যা মন চায় সেটাই করতে পারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *