August 3, 2025

আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ পরিদর্শনে রেল বোর্ড সদস্য

 আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ পরিদর্শনে রেল বোর্ড সদস্য

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || আগরতলা- আখাউড়া রেলপথের কাজে গতি সঞ্চারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগরতলা রেলস্টেশনের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে আরোপ করা হয়েছে গুরুত্ব।কাগজপত্রে গৃহীত উচ্চ পর্যায়ের এই সিদ্ধান্ত রূপায়ণে চলছে তৎপরতা।তারই অঙ্গ হিসাবে আগরতলা ঘুরে গেলেন রূপনারায়ণ সুঙ্কের। তিনি ভারতীয় রেল মন্ত্রকের চালিকাশক্তি হিসাবে পরিচিত রেল বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী,রেল বোর্ডের সদস্য, পরিকাঠামো৷ ভারতীয় রেল সম্পর্কে ওয়াকিবহালদের বক্তব্য, আগরতলায় তার সফর অত্যন্ত ইঙ্গিতবহ।শনিবার সকালে একদিনের সফরে তিনি আগরতলা আসেন।

May be an image of 10 people, train and railway

উত্তর পূর্ব সদর কার্যালয় মালিগাঁও থেকে বিশেষ ট্রেনে আগরতলায় এসে একইভাবে মালিগাঁওয়ে ফিরে যান তিনি।তার আগে নয়াদিল্লী থেকে সীমান্ত রেলের সদর কার্যালয় মালিগাঁওয়ে এসে অংশ নেন বৈঠকে।আগরতলায় আসার সময় সঙ্গে আনেন সীমান্ত রেলের লামডিং বিভাগের প্রধান তথা ডি আর এম লামডিং প্রেমরঞ্জন কুমারকে।আসেন অন্যান্য আধিকারিকরাও।আগরতলা স্টেশনে নেমেই শনিবার প্রায় দিনভর শ্রীসুঙ্কের স্টেশনের বিভিন্ন পরিকাঠামো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।পরিদর্শন করেন স্টেশনের চলমান সিঁড়ি তথা আর এস্কালেটের বসানো নানা পরিকাঠামোগত সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শন করেন আগরতলা- আখাউড়া রেলপথের ভারতীয় অংশ, আগরতলা-নিশ্চিন্তপুরের নির্মাণকাজ।রেল বোর্ডের সদস্য, পরিকাঠামো রূপ নারায়ণ সুঙ্কের খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন নির্মাণকাজের নানা দিক।রেল বোর্ডের সর্বেসর্বা হিসাবে থাকেন চেয়ারপার্সন।ভারতীয় রেলের পরিচালনগত গঠন অনুসারে তিনিই নির্বাহী প্রধান।রেলমন্ত্রী, মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পরই তার অবস্থান।ভারতীয় রেলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও রূপায়ণে তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে।তাকে সহায়তা করার জন্য রয়েছেন রেলের বিভিন্ন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য। তাদের রেলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছেন সদস্য,পরিকাঠামো।ট্রেন চলাচল সংক্রান্ত দায়িত্বে রয়েছেন সদস্য, অপারেশন।এছাড়া অর্থ, প্রকৌশল,বিদ্যুৎ, যান্ত্রিক ও রেলের নিজস্ব আধিকারিক এবং কর্মীদের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবে রয়েছেন সদস্য,কর্মী।নিজ নিজ ক্ষেত্রে রেল বোর্ডের সব সদস্যের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে দায়িত্ব ও ক্ষমতা।রেল বোর্ডের সদস্য, পরিকাঠামো প্রধানত নির্মাণ রেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।তাছাড়া পরিকাঠামোগত উন্নয়নের নানা বিষয় রয়েছে তার দায়িত্বে। সেদিক থেকে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ রূপায়ণের গতিবৃদ্ধিতে তার ভূমিকা বিশাল।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল, নির্মাণ এবং ভারতীয় রেলের নিজস্ব নির্মাণ সংস্থা ইরকন সূত্রের বক্তব্য অন্তত এমনই। সূত্রের খবর অনুসারে এই প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণের সঙ্গে রেল বোর্ডের সদস্য, পরিকাঠামো রূপ নারায়ণ সুঙ্কেরের আগরতলা সফরের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের ভারতীয় অংশ,আগরতলা-নিশ্চিন্তপুর রেলপথ দ্রুত অথবা ঢিমেতালে রূপায়ণের সঙ্গে শ্রীসুঙ্কেরের এই রেলপথ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আগরতলা ও বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নিশ্চিন্তপুর স্টেশন পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ৪৬০ মিটার দৈর্ঘ্য রয়েছে। সব মিলিয়ে আগরতলা- আখাউড়া রেলপথের ভারত ও বাংলাদেশ অংশ মিলিয়ে মোট দৈর্ঘ্য হলো ১২ কিলোমিটার ২৩০ মিটার।এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশের ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে আখাউড়া স্টেশন পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ৭৭০ মিটার রেলপথ রয়েছে।তুলনায় প্রকল্পের রূপায়ণে ভারতীয় অংশে কাজের অগ্রগতি হয়েছে বেশি,সব মিলিয়ে ৮৯ শতাংশ। বাংলাদেশ অংশে এই হার ৭৫ শতাংশ। ভারতীয় অংশে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৭৪৫ কোটি টাকা। প্রয়োজন আরও প্রায় ১৫৬ কোটি টাকা। বাড়তি অর্থের সংস্থান প্রসঙ্গে রেল বোর্ডের সদস্য,পরিকাঠামো রূপ নারায়ণ সুঙ্কেরের আগরতলা সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এক অর্থে তার আগরতলা-নিশ্চিন্তপুর রেলপথ সহ আনুষঙ্গিক অংশের পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণলব্ধ সিদ্ধান্তের উপর প্রকল্প রূপায়ণ বহুলাংশে নির্ভর করছে।এ নিয়ে রেল বোর্ডে তার প্রয়োজনীয় তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন দাখিলের উপরই নির্ভর করবে বাড়তি অর্থের সংস্থান।একদিক থেকে সদস্য, পরিকাঠামো শ্রীসুঙ্কের এক্ষেত্রে প্রশাসনিকভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী।আপাতত তার পরিদর্শন পর্যবেক্ষণভিত্তিক সিদ্ধান্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ। কেননা তার উপরই রেলের নিজস্ব নির্মাণ সংস্থা ইরকনের চাহিদামতো ১৫৬ কোটি,না আরও কম অর্থের সংস্থান হবে তা নির্ভর করছে। নির্ভর করছে এই অর্থ কবে প্রদান করা হবে তাও৷ এখন বকেয়া অর্থের অভাবে কিন্তু প্রকল্প রূপায়ণের গতি প্রায় থমকে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *