August 2, 2025

ভোটের মুখে মা হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী

 ভোটের মুখে মা হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী

সৈকতপ্রেমী পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য বলে পরিচিত থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচনের আর দুই সপ্তাহও দেরি নেই। প্রচার চলছে ঢাকঢোল পিটিয়ে। অন্যদিকে নির্বাচনের ঠিক বারো দিন আগে- পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম প্রার্থী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান’ জানাচ্ছে, থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনের ঠিক বারো দিন আগে সোমবার একটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন থাইল্যান্ডের নেতৃস্থানীয় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ৩৬ বছর বয়সি পেতংতার্ন নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নবজাতকের ছবিসহ সন্তান জন্মের ঘোষণা করেন (সঙ্গের ছবি)। পেতংতার্ন হলেন থাইল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কনিষ্ঠ কন্যা। হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাতকে পাশে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেছেন, একটু সুস্থ হলেই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি ‘উং ইং’ নামে বেশি পরিচিত। এ দেশের মূলত উত্তর ও পূর্বোত্তর এলাকায় সিনাওয়াত্রা পরিবারের ঈর্ষণীয় জনভিত্তি রয়েছে। এই পরিবারের নামেই জনতা ভোট দেন। ২০০১ সালের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই এই পরিবারের সদস্যরা জয়ী হয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে নবজাতকের জবানিতে পেতংতার্ন লিখেছেন, ‘হাই, আমার নাম প্রথাসিন সুসাওয়াস, ডাক নাম থাসিন। আপনাদের সকলের সমর্থন ও শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। কিছুদিন অপেক্ষা করুন, আমার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করুন। তারপরেই আমি প্রেসের সঙ্গে দেখা করব। পেতংতার্নের জন্ম দেওয়া শিশুটি থাই নেত্রীর দ্বিতীয় সন্তান। তবে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিতীয় সন্তানের আসন্ন আগমনও তাকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতে পারেনি। প্রথাসিন সুসাওয়াসকে গর্ভে নিয়েই ঝোড়ো প্রচার করেছেন তিনি। তবে এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে তিনি কেবল জনসভায় ভিডিয়ো বার্তায় বক্তৃতা করেছেন। প্রতিটি সভাতেই দাবি করেছেন, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তিনিই নির্বাচিত হতে চলেছেন। আগামী ১৪ মে থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আসন্ন নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং ফুফু ইংলাকের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশের ক্ষমতায় ফিরে আসার আশা করছেন পেতংতার্ন। থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবারের প্রতি বহু বছর ধরে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। অতীতে নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাদের দল ক্ষমতায় এসেছে। আর তাই নিজের পরিবারের নামের স্বীকৃতি এবং দলের স্থায়ী জনপ্রিয়তা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *