August 3, 2025

ল্যানসেটের বিজ্ঞানী তালিকায় বাঙালি কন্যা সেঁজুতি সাহা

 ল্যানসেটের বিজ্ঞানী তালিকায় বাঙালি কন্যা সেঁজুতি সাহা

মেয়ে এমন কৃতী হোক, বিশ্বের বিদ্বৎমহলের আলো এসে পড়ুক তার উপরে। সব বাবা-মা বোধহয় এমন স্বপ্ন দেখেন। তেমনই কৃতী কন্যা সেঁজুতি সাহা। চোখে-মুখে ঝরছে
আত্মবিশ্বাস আর মেধার দীপ্তি। তিনি
অণুজীববিজ্ঞানী। নিবাস বাংলাদেশ। কিন্তু নিজের কৃতিত্বে এখন তিনি শুধু আর দেশ-কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ নন। বৃহত্তর অর্থে তিনি বাঙালির। বিশ্বের একেবারে প্রথম সারির
সায়েন্স জার্নাল ‘ল্যানসেট’ বিশ্বের ১০ বিজ্ঞানীর যে প্রোফাইল প্রকাশ করেছে, তাতে জ্বলজ্বল করছে সেঁজুতির নাম। ল্যানসেট-এর প্রোফাইল প্রকাশের পর বাংলাদেশের
সংবাদ মাধ্যমে সেঁজুতি সাহা বলেন,
‘ল্যানসেট আমার সঙ্গে যোগাযোগের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় আমি আনন্দে উত্তর দিতে পারছিলাম না। আমি ভাবছিলাম, ল্যানসেট আমাদের কাজ সম্পর্কে এতটা জানে! আমি খুব গর্বিত এই কারণে যে, ল্যানসেটের মতো বিজ্ঞান জার্নাল একজন
বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে নিয়ে একটি
প্রোফাইল লিখেছে। এটিবিশ্বের কাছে
আমাদের দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।’ ঠিক কী কারণে সেঁজুতিকে অন্তর্ভুক্ত করল ল্যানসেট, তাদের বিজ্ঞানীদের তালিকায়? ল্যানসেট সেঁজুতি সম্পর্কে লিখেছে, ‘তিনি বিশ্বস্বাস্থ্যের গবেষণা নিয়ে লিঙ্গ সমতার পক্ষে সব সময়ে গলা তোলেন। সেঁজুতি এবং তার দল মিলে জীবাণুর জিনোম সিকোয়েন্সিং কিংবা ভাইরাসের গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। বাংলাদেশের শিশুদের আক্রান্ত করে এমন রোগ, যেমন ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া নিয়ে তাদের গবেষণা এখনও চলছে।’ নিজের কাজ সম্পর্কে সেঁজুতি বলেন, ‘এখন অনুভব করছি, দেশের প্রতি আমার দায়িত্ব আরও
বাড়ল। এখন এই ভাবমূর্তিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আশা করি, আমরা সব বিজ্ঞানী একসঙ্গে দেশের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।’ সেঁজুতির কাজ দেখে বাংলাদেশের বিজ্ঞান নিয়ে পড়া পড়ুয়দের বাবা-মায়েরাও আপ্লু
ত।
অভিভাবকদের তরফে সেঁজুতি একটি
চিঠিও পেয়েছেন। সেই চিঠির কথা
সেঁজুতিকে নিয়ে ল্যানসেটের লেখায়
উঠে এসেছে। যেখানে অভিভাবকেরা
লিখেছেন, ‘আমাদের সন্তানেরা
বিজ্ঞানী হোক, এটা চাই। আমরা
কখনও ভাবিনি, এটা একটা পেশা
হতে পারে। কারণ, আমরা কোনও
দিন বিজ্ঞানী দেখিনি। সত্যি বলতে
কি, কোনও মহিলা বিজ্ঞানী দেখিনি!’
সেঁজুতির কাজ শুধু শিশুদের রোগ
থেকে রক্ষা নয়, শিশুদের বিজ্ঞানমনস্ক
করে তোলার জন্যও অনুপ্রেরণার হয়ে
থাকবে। শিশুদের নিয়েও নিরন্তর
কাজ করে যান সেঁজুতি! বিশেষত
মহিলা বিজ্ঞানীদের জন্য সব সময়
তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *