September 17, 2025

হাসপাতালে বেড নেই,মর্গে জায়গা নেই,কোভিডে বিধ্বস্ত চিন

 হাসপাতালে বেড নেই,মর্গে জায়গা নেই,কোভিডে বিধ্বস্ত চিন

করোনা গোকূলে বাড়ছে অনেক দিন আগেই বুঝে ফেলেছিল চিনা সরকার। সেই ‘জিরো কোভিড’ নীতি গ্রহণে কঠোর বিধিনিষেধ
চালুও করে দিয়েছিল বিভিন্ন শহরে। সরকারের কড়া পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট হয়ে নাগরিকদের একটা বড় অংশ প্রতিবাদ জানাতে নেমে এসেছিলেন রাস্তায়, যা গত তিরিশ বছরে চিনে হয়নি। গত ১৯ তারিখ
চিনের স্বাস্থ্য দপ্তর বুলেটিন প্রকাশ করে জানিয়েছিল কোভিডে দু’জন রোগীর মৃত্যুর খবর। ২১ তারিখেই চিনা সংবাদপত্রে জানা গেল, পরিস্থিতি কার্যত ভয়াবহ। চিনে দুই
বছর আগেকার কোভিড-চিত্র ফিরে এসেছে। বেজিং থেকে সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, এপি রিপোর্টে ‘করোনার নতুন উপরূপ বিএফ.৭ এর তরঙ্গ উপচে পড়েছে চিনে। এপি জানাচ্ছে, ৪ থেকে ১৯ ডিসেম্বর চিনা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে কোভিডে
একজনেরও মৃত্যুর খবর অস্বীকার করা হয়েছিল। চিন একদলীয় শাসনের দেশ। বিরোধীশূন্য চিনে সেই খবরই সামনে আসে, শাসক যতটুকু চায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ বলছেন, চিন যখনই ঘরোয়া রাজনীতিতে টালমালাট হয় তখনই অন্য দেশের সঙ্গে শ্যাডো ওয়ার বা
নকল যুদ্ধ শুরু করে। অরুণাচলের তাওয়াংয়ে চিনা সৈন্য সেই কারণেই প্রবেশ করেছিল। করোনাভাইরাসকে অনেক আগেই উহান ভাইরাস (চিনের উহান শহরে ম্যান-মেইড ভাইরাস) বলে কটাক্ষ করেছিল আমেরিকা। এ যাত্রাতেও সে ভাবে দেশের বর্ধিত জনরোষ সামাল দিতে ওমিক্রনের উপপ্রজাতি বিএফ.৭ ‘ছড়িয়ে দেওয়া’ হয়েছে কি না, তা নিয়েও পশ্চিমী দেশগুলিতে চর্চা শুরু হয়েছে। এপি জানাচ্ছে, গত কয়েক দিন ধরে চিনে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা ১০
লাখ। মৃত্যুও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রায় ভাঙতে শুরু করেছে। চাপ সামাল দেওয়া যাচ্ছে না রোগীদের। অধিকাংশ হাসপাতালে কোভিড বেড নেই। মর্গেও ভিড় বাড়ছে মৃতদের আত্মীয়-পরিজনদের। শ্মশানেও লম্বা লাইন। বাজারে প্যারাসিটামল জাতীয় জ্বরের ওষুধের সংকট শুরু হয়েছে। চিনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান
টেড্রস অ্যাঢানাম ঘ্রেব্রেইসাস। চিনে
করোনায় ঠিক কতজনের মৃত্যু হচ্ছে, তার সঠিক খবর সামনে আসছে না বলে অনুযোগ করেছেন তিনি। এদিকে মার্কিন গোয়েন্দারা নিজেদের মতো করে জেনেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে চিনে অন্তত ২০ লাখ মানুষের
করোনায় মৃত্যু হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *