August 2, 2025

৪ মাস শূন্যতার পর,চলতি সপ্তাহেই রেশনে ডাল, জানালো দপ্তর।

 ৪ মাস শূন্যতার পর,চলতি সপ্তাহেই রেশনে ডাল, জানালো দপ্তর।

অনলাইন প্রতিনিধি :- একটানা চারমাস ধরে রাজ্যের সরকারী ন্যায্যমূল্যের দোকানে মসুরি ডাল নেই। ডাল শূন্যতায় চারমাস কেটেছে। গত এপ্রিল মাস থেকে ন্যায্যমূল্যের দোকানের ভোক্তারা ডাল পাননি। তাতে ভোক্তারা অসন্তুষ্ট। খোলা বাজার থেকে চড়া মূল্যে ডাল কিনতে হচ্ছে। কার্ড পিছু প্রতি মাসে ১ কিলো করে ডাল বরাদ্দ থাকে। এপিএল ভোক্তার জন্য এক কিলোর মূল্য ৮৪ টাকা। বিপিএল বা এই ধরনের ক্যাটাগরি ভোক্তাদের জন্য এক কিলোর মূল্য নেওয়া হয় ৫৯ টাকা। এদিকে রবিবার খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল মজুমদারকে ন্যায্যমূল্যের দোকান ভোক্তারা কবে পাবেন জিজ্ঞাসা করা হলে জানান, উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে ইতিমধ্যে রেলে করে ১,২০০ মেট্রিকটন মসুরি ডাল আগরতলার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। আগামী ২৫ বা ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে ডাল নিয়ে রেল আগরতলায় পৌঁছে যাবে। এই ডাল আসার পরই রাজ্যের সব ন্যায্যমূল্যের দোকানে ডাল পৌঁছে দেওয়া হবে। চলতি জুলাই মাস সহ চার মাসের ডাল পাওনা ভোক্তারা। তাতে বকেয়া একসঙ্গে কত মাসের ডাল ভোক্তাদের দেওয়া হবে সেই প্রশ্নের উত্তরে খাদ্য অধিকর্তা স্পষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেননি। ডাল বোঝাই রেল পৌঁছার পরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে খুব শীঘ্রই চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলিতে ভোক্তারা ডাল পেয়ে যাবেন বলেও তিনি জানান। এদিকে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ন্যায্যমূল্যের দোকানে ডাল যাতে ভোক্তারা পেয়ে যান শুরু থেকেই তৎপরতা চালান। প্রসঙ্গত, খাদ্য দপ্তর প্রথমে নাফেড থেকে ডাল ক্রয় করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু নাফেড থেকে ডাল আনতে আরও বিলম্ব হয়ে যাবে বলে তড়িঘড়ি করে খাদ্য দপ্তরে ডালের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। তারপর এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ঠিকাদার সংস্থার হাতে ডাল ক্রয় করার বরাত দেওয়া হয়। সেই ডাল আগামী ২৫ বা ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে আগরতলায় পৌঁছাবে রেল। তাই তারপরও বহিঃরাজ্য থেকে ডাল কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিলম্ব হয়ে যায়। খাদ্য দপ্তর ন্যায্যমূল্যের দোকানের ডিলারদের কাছ থেকে আগেই ডালের টাকা নিয়ে রেখেছে। এদিকে ভোক্তাদের তরফে দাবি উঠেছে রাজ্য সরকার তথা খাদ্য দপ্তরকে ডালের বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *