August 2, 2025

৪০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক কখনও শোনেনি মোদির নাম, সামনে এল পিউ সমীক্ষা।

 ৪০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক কখনও শোনেনি মোদির নাম, সামনে এল পিউ সমীক্ষা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘বিশ্বগুরু’ বলে প্রচার করে তার দল বিজেপি। এমনকী, একাধিক সমীক্ষায় ধরাও পড়েছে যে, বিশ্বের তামাম রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে নিজ দেশে মোদি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। নয় বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বে এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিথি হিসাবে আমেরিকা সফরে গেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে ভারত এবং আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চগ্রামে প্রচারে খামতি নেই। সেই আবহে ‘পিউ রিচার্স’-র একটি সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসায় কিছুটা অস্বস্তিতে মোদি-ভক্তরা। ওয়াশিংটন ডিসি হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সদর দপ্তর। পিউ রিসার্চকে বলা হয় সেই দপ্তরের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। তাদেরই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, আমেরিকার অজস্র নাগরিক নরেন্দ্র মোদির নামটাই কখনও শোনেননি। ‘স্প্রিং ২০২৩ গ্লোবাল অ্যাটিটিউড সার্ভে শিরোনামে গত ২১ জুন প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক কখনও মোদির নাম শোনেনি। সেই সঙ্গে ৩৫ শতাংশ নাগরিক কখনও বর্তমান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের নাম শোনেনি। এই দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এ দেশের ২৬ শতাংশ নাগরিক কখনও শোনেনি তার নাম। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোদি, শোলৎজে কিংবা নেতানিয়াহুর তুলনায় ঢের বেশি মার্কিন নাগরিক নামে চেনেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন থেকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। নিচের দিক থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চেনেন না এ দেশের মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ।শি জিনপিংয়ের কখনও নাম শোনেনি ১৩ শতাংশ নাগরিক এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চেনে না ১০ শতাংশ। অর্থাৎ, এই তিন নেতা মার্কিনিদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।গত ২০ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে ৩৫৭৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকান নাগরিকের উপর সমীক্ষাটি চালায়- পিউ রিসার্চ সেন্টার। সমীক্ষায় ধরা পড়েছে,অনূর্ধ্ব তিরিশ বছর বয়সি আমেরিকানদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ কখনও নরেন্দ্র মোদির নাম শোনেননি। আবার যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চেনেন, তাদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তির মোদির প্রতি ‘যথেষ্ট আস্থাশীল নই” বলে জানিয়েছেন। কূটনৈতিক বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে মোদির যোগ্যতার বিষয়ে ৩৭ মার্কিন নাগরিকের আস্থা ‘অতি নগণ্য’, বলা হয়েছে রিপোর্টে। তবে ২ শতাংশ মার্কিনি এই প্রশ্নের উত্তর দেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *